সুন্দরগঞ্জে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর কার্যক্রম চলছে

প্রকাশিত: ০৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০৩:৫০:১৬

সুন্দরগঞ্জে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর কার্যক্রম চলছে

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নিয়ম-শৃঙ্খলভাবেই চলছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর কার্যক্রম। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা মিলে কার্ডধারীর সংখ্যা মোট ২৪ হাজার ১১জন। প্রতিজন মাসে ১০ টাকা দরে প্রতিকেজি হিসেবে ৩’শ টাকায় ৩০ কেজি করে চাল ক্রয় করছেন।

এ কার্যক্রমের সুফল হিসেবে মঙ্গা কবলিত এ উপজেলার অতিদরিদ্র প্রকৃতির মানুষজনের মঙ্গা মোকাবেলায় বিশাল সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। উপজেলার ৪২ জন ডিলারের অতিদরিদ্রদের মাঝে চাল বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে ৪২টি।

এরমধ্যে সম্পূর্ণরূপে হরিপুর, কাপাসিয়া, বেলকা ছাড়াও আংশিক তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদী বিধৌত ইউনিয়ন রয়েছে মোট ৬টি। এসব ইউনিয়নের মধ্যে হরিপুর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর অধিনে ডিলার রয়েছেন ২জন।

ইউনিয়নটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়া ছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ফলে ডিলারদ্বয়ের মধ্যে বিকাশ কুমারের বিক্রয়কেন্দ্র বেলকা বাজারে আর বিপুল কুমার দেবসর্মার বিক্রয় কেন্দ্র ইউনিয়নের উজান তেঁওড়া গ্রাম সংলগ্ন অত্র ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আসাদুজ্জামানের একটি বাসভবনের নিকট একটি পরিত্যাক্ত ভবনে।

এনিয়ে নানান অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে সরে জমিনে গিয়ে উপস্থিত ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান, সাবেক সদস্য বিদ্যুৎ কুমার দেবসর্মা, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আজিজল হক, আতোয়ার রহমান, রফিকুল ইসলাম, তারা মিয়া, আবু তালেবসহ কিছু উপকারভোগী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, অত্যান্ত সু-শৃঙ্খলভাবে এ বিক্রয় কেন্দ্রে কার্ডধারী উপকারভোগীরা প্রতিকেজি ১০ টাকা হারে ৩’শ টাকায় ৩০ কেজি করে চাল ক্রয় করছেন। বন্যা কবলিত এ ইউনিয়নে রাস্তা-ঘাট না থাকায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে চড়ম বিড়ম্বনা। তাই, এখানে চাল ক্রয়-বিক্রয়ের কোন সমস্যা নেই।

তদারকির দায়িত্বে থাকা পশ্চিম উজান তেঁওড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলকিছ বেগম, ডিলার বিপ্লব কুমার দেবসর্মা জানান, রাস্তা-ঘাট মেরামত না করায় পার্শ্ববর্তী বাংলাবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ পুরোপুরিভাবে বিচ্ছিন্ন। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল মালেক বসুনিয়া জানান, কোন অবস্থাতেই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীতে দুর্নীতি-অনিয়ম সহ্য করা হবে না।

কোনরকম অনিয়ম হলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, হরিপুর ইউনিয়নসহ তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদ বিধৌত সম্পূর্ণরূপে ৩টিসহ মোট ৬টি ইউনিয়নে সাম্প্রতিক বন্যার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারেই নাজুক। তাই, পাশাপাশি অবস্থানে বিক্রয় কেন্দ্র চালু রয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা নীবির পর্যবেক্ষণ ও তদারকি অব্যাহত রেখেছি।

  প্রজন্মনিউজ২৪/ মো:সাগর

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ