জাকারিয়া শেখ গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পরিক্ষা চলাকালে ২০ ছাত্রের চুল কাটলেন অধ্যক্ষ। এ ঘটনায় পরিক্ষা না দিয়ে ছাত্ররা হল থেকে বেরিয়ে যায়। পরবর্তীতে শিক্ষকদের মধ্যস্থায় ছাত্ররা হলে ঢুকে পরিক্ষা দেয়। এ নিয়ে ছাত্রদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার কোটালীপাড়ার কুশলা নেছারিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়ামিন শিকদার, মাহামুদুল হাসান, রমজান ফকির, ইয়াসিন খান, রহমত শেখ , রিপন,  ইয়াসিন শেখ জানায়, গত বুধবার তাদের বাংলা পরীক্ষা চলছিল। এ সময় হঠাৎ করে অধ্যক্ষ মো: বাকের হোসাইন কাঁচি দিয়ে ২০ ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেয়। এ ঘটনার পর ছাত্ররা পরিক্ষা না দিয়ে হল থেকে বেরিয়ে যায়। পরবর্তীতে মাদ্রাসাটির অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যস্থায় ছাত্ররা তাদের পরিক্ষা শেষ করে ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানায়, বাংলা পরিক্ষার ২ ঘন্টা পড়ার পর হঠাৎ করে হুজুর আমাদের হলে ঢুকে সব ছাত্রের চুল কেটে দেয়। এ ঘটনার পর আমরা পরিক্ষায় না দিয়ে বেরিয়ে আসার পরে আমাদেরকে দাখিল পরিক্ষার ফরম পূরণ করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেয়া হয়। এর পরে আমরা পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করি।

মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ মো: বাকের হোসেনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, আমি দাখিল শ্রেণির সকল ছাত্রকে পরিক্ষার আগের দিন চুল কেটে মাদ্রাসায় আসতে বলেছি। ছাত্ররা আমার কথার অবাধ্য হওয়ার কারণে ওদের চুল কেটে দিয়েছি। তবে আমি কাউকে ফরম পূরণ করতে দিবোনা এ কথা বলিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রজন্মনিউজ২৪/রেজাউল