রাজীবের দুই ভাইকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০১:০৭:২৮ || পরিবর্তিত: ১৩ অক্টোবর, ২০১৯ ০১:০৭:২৮

রাজীবের দুই ভাইকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারান ও পরে মৃত্যুমুখে পতিত হন তিতুমীর কলেজ ছাত্র রাজীব।

রবিবার হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে স্বজন পরিবহনের করা আবেদনের শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

রাজধানীতে দুই বাসের চাপায় হাত হারানো কলেজছাত্র রাজীব হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার ঘটনায় তার দুই ভাইকে আগামী এক মাসের মধ্যে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে স্বজন পরিবহনের মালিক পক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে স্বজন পরিবহনের করা আবেদনের শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এসময় আদালতে রাজীবের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

এর আগে গত ২০ জুন দুই মাসের মধ্যে রাজীবের পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা করে মোট ৫০ লাখ টাকা দিতেবাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ও স্বজন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

পরে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে স্বজন পরিবহন কর্তৃপক্ষ আবেদন জানায়। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত হাইকোর্টের ক্ষতিপূরণের আদেশ স্থগিত করেন এবং আবেদনটি শুনানির জন্য আজ রবিবার (১৩ অক্টোবর) দিন নির্ধারণ করেছিলেন। যার ধারাবাহিকতায় মামলাটির শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল রাজধানীর কাওরান বাজার এলাকায় দুই বাসের রেষারেষিতে হাতকাটা পড়ে কলেজছাত্র রাজীবের। এ ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ৪ এপ্রিল রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

হাইকোর্ট এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রুল জারিসহ রাজীবের চিকিৎসার খরচ দুই বাস মালিক বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনকে বহনের নির্দেশ দেন।

এ রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গত বছরের ১৬ এপ্রিল দিনগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রাজীবের।

এদিকে, বাস মালিকদের আপিলের পর গত বছরের ২২ মে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ ওই ঘটনায় দুই বাস কর্তৃপক্ষের মধ্যে কারা দায়ী ও ক্ষতিপূরণ নিরূপণ করতে একটি ‘স্বাধীন কমিটি’ গঠনে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন। পরে ওই কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে হাইকোর্ট রাজীবের দুই ভাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দেন।

পাশাপাশি রাজীবের দুই ভাইকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের মালিককে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। এরপর হাইকোর্ট বিভাগ এ কমিটি গঠন করেন।

প্রজন্মনিউজ২৪/রেজাউল

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ