মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইনে নীলফামারী আধুনিক হাসপাতাল বিপাকে

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০১:৪৬:৫৭

মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইনে নীলফামারী আধুনিক হাসপাতাল বিপাকে

মো: ফরহাদ, জেলা প্রতিনিধি নিলফামারী:  নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে মধ্য বয়সী এক রোগীর শরীরে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিক্ষুদ্ধ জনতা কয়েক ঘন্টা সিভিল সার্জন দপ্তর অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করায় অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

শনিবার রাত ১০টায় শহরের নতুন বাজার কলোনি এলাকার আব্দুল ওহাবের স্ত্রী মল্লিকা বেগমকে (৫০) অসুস্থ অবস্থায় সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হয়। এসময় জরুরী বিভাগে কোন চিকিৎসক না থাকায় উপস্থিত কর্মচারীরা মল্লিকা বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ডে পাঠায়। ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্স ছায়া রানী মল্লিকা বেগমকে মেয়াদউত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করেন।

রাত ১২টার সময় রোগীর লোকজনরা যখন বুজতে পারেন স্যালাইনটি মেয়াদ উত্তীর্ণ ততক্ষনে স্যালাইনের বেশীরভাগই শরীরে পুশ হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বরত নার্সের সাথে রোগীর লোকজনের বাকবিতন্ডা শুরু হয়ে যায়। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি প্রথমে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করলেও জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ায় তা ভেস্তে যায।

একই সময়ে অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন রোগীকে চলতি বছরের মে মাসে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন শরীরে পুশরত অবস্থায় পাওয়া যায়। হাসপাতালের স্টোরে মেয়াদ উত্তীর্ণ আরো ওষুধ ও স্যালাইন রয়েছে এমন অভিযোগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাতেই হাসপাতালের স্টোর সিলগালা করা হয়।

এদিকে রবিবার সকালে বিষয়টি নিয়ে রোগীর লোকজনের সাথে এলাকার শত শত মানুষ এক হয়ে ঘটনার সুষ্ট তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবিতে সিভিল সার্জন দপ্তর অবরুদ্ধ করে রাখেন। এসময় চরম উত্তেজনা দেখা দিলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে ঘটনার সুষ্ট তদন্তের আশ্বাস দিলে পরে নিয়ন্তনে আসে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানা যায়, ওই হাসপাতালে দীর্ঘ দিন থেকে বিশেষ করে রাতের বেলা রোগীদের মেয়াদউত্তীর্ণ স্যালাইন, ওষুধ প্রদান ও নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ছাড়াও দায়িত্বরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা রোগীদের সাথে অসদাচারণ করে আসছেন। এছাড়া গর্ভবতি কোন রোগী এলেই নানা ছলচাতুরীর মাধ্যমে রংপুর কিংবা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন হাসপাতালে কর্মরত একটি চক্র।

এদিকে ওভিযুক্ত নার্স ও হাসপাতালের স্টোর কিপার মাজেদুল ইসলাম গা ঢাকা দিয়েছেন।

প্রজন্মনিউজ২৪/ফরহাদ/নুর

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ