প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১১:০৫:০৮
বিশ্বকাপের পর থেকে পরাজয়ের ঘূর্ণাবর্তে ছিল বাংলাদেশ দল। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে হারের বৃত্ত ভেঙেছিল বাংলাদেশ। ঠিক পরের ম্যাচেই ফিরে এলো আগের ছবি। আফগানিস্তানের সামনে পড়তেই অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন সৌম্য-মুশফিকরা।
গত রোববার আফগানদের কাছে ২৫ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজের তিন ম্যাচ শেষে দুটি জয়ে শীর্ষে আফগানরা। বাংলাদেশের জয় একটি, জিম্বাবুয়ে এখনো জয়শূন্য। এখনো ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে খেলা সম্ভব বলে মনে করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
গত রোববার রাতে ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, সামর্থ্য অনুযায়ী ফাইনাল খেলা উচিত বাংলাদেশের। আগামীকাল থেকে শুরু হবে চট্টগ্রাম পর্ব। কাল ফিরতি ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। গতকাল বিকেলেই চট্টগ্রামে গিয়েছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান দল। জিম্বাবুয়ে বন্দরনগরীতে চলে গেছে রোববারই।
ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘এখনো দুটি ম্যাচ আছে। আমরা চিন্তা করি, জিম্বাবুয়ে যেহেতু দুটি ম্যাচের দুটিতেই হেরে গিয়েছে, তাই ওদের জন্য কঠিন। তিনটি দলের দুটি যদি ফাইনাল খেলে, তাহলে এখনো আমি বলব যে আমাদের ফাইনালে যাওয়া উচিত। আর আমি মনে করি, আমাদের দলের সেই সক্ষমতা অবশ্যই আছে।’
টানা ব্যর্থতায় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস এখন তলানিতে, তা স্বীকার করেছেন অধিনায়ক সাকিব। তিনি বলেছেন, ‘আত্মবিশ্বাস যেহেতু নিচুতে, সে কারণে মাইন্ড সেটটাও ক্লিয়ার না। একটা আরেকটার পরিপূরক বলতে পারেন।’ আর আফগানদের সঙ্গে স্কিল ও মানসিক দিকে বাংলাদেশের ভালো ব্যবধান রয়েছে।
এমনটাই মনে করেন সাকিব। তবে রোববার ম্যাচ হারের পেছনে অতিরিক্ত রান ও তাইজুলের নো বলকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ম্যাচে সাকিবের বলেই বাই থেকে দুটি চার হয়েছে। মুশফিক বল ধরতে পারেননি। ইনিংসের ১৫তম ওভারে আসগর আফগান ফিরতে পারতেন ৩১ রানে। কিন্তু আসগর ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান তাইজুল নো বল করায়।
পরে সেই ওভারে এসেছে ১৬ রান। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছেন, ‘আমাদের অতিরিক্ত রান অনেক ভুগিয়েছে। ১৫-১৬ রান অরিতিক্ত দিয়েছি আমরা। ওখানেই আসলে পেছনে পড়ে গিয়েছি। আপনি যদি সেই ১৫-১৬ অতিরিক্ত রান বাদ দেন এবং যে সুযোগগুলো আমরা মিস করেছি, তাইজুলের যে ওভারটিতে রানটি গেল, সেই ওভারে হয়তো ৫-৬ রান হতো, তবে উইকেট পড়ত, মোমেন্টাম আমাদের দিকে থাকত।
সেখানে এ ওভারে ১৭ রান হয়েছে। এগুলো আসলে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট থাকে।’ ৪০ রানে ৪ উইকেট হারানো আফগানদের ম্যাচে ফেরার সুযোগটা বাংলাদেশই করে দিয়েছে। টানা চার টি-২০তে রশিদ-নবিদের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। সাকিব স্বীকার করে নিলেন, এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের চেয়ে বড়ো দল আফগানিস্তান। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘টি-২০তে অবশ্যই ওরা বড়ো দল। র্যাংকিংয়ে ওরা ৭ নম্বরে।
আমাদের ওপরে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা, যাদের সঙ্গে আমরা মাঝে মাঝে জিতি আর মাঝে মাঝে হারি। যেহেতু ওরা র্যাংকিংয়ে এগিয়ে, তাই ওদের সঙ্গে জিততে আমাদের কষ্টই হয়। এটি দেরাদুনেও ছিল এবং আজকেও (গত রোববার) সেটা প্রমাণ হয়ে গেল।’ সাকিব মনে করেন, ম্যাচটি বাংলাদেশই দিয়ে এসেছে আফগানদের।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা ওদের ম্যাচটি অনেকটা দিয়ে এসেছি বলে আমি মনে করি। কারণ একটা সময় ছিল, যখন ম্যাচটি আমাদের দুই হাতে লুফে নেওয়ার সুযোগ ছিল, যেটি আমরা করতে পারিনি।’
গণতন্ত্রের আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত, এ আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হবো : মির্জা ফখরুল
তারাবিহ নামাজের মাহাত্ম্য ও বিধান
ভুল চিকিৎসায় পা হারালো শিক্ষার্থী
শশীভুষনে তিন দোকান পুড়ে ছাই ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি।
উচ্চমূল্যের মুঠোফোন প্যাকেজ গ্রাহকদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে
ভারত বিষয়ে কৌশল ঠিক করছে বিএনপি
ইসলামের ইতিহাসে প্রথম বিজয় ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ