প্রকাশিত: ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৩:১৮:১৫ || পরিবর্তিত: ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৩:১৮:১৫
সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির মানহানি মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুলকে জামিন দিয়েছেন ঢাকার সিএমএম আদালত। রবিবার দুপুরে তাকে জামিন দেন আদালত।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের আইনজীবী এম মাসুদ জানান, সিএমএম কোর্ট থেকে জামিন না পেয়ে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলাম। জামিন আবেদনের বিষয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আগামীকাল সোমবার ১টা ২০ মিনিটে শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেছিলেন।
‘রোববার বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ঠিক করে আদেশ দেন। এখন শুনছি ওনার জামিন হয়েছে।’
গত ৩ সেপ্টেম্বর মানহানির অভিযোগে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির দায়ের করা মামলায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেন।
একই আদালত আজ (৮ সেপ্টেম্বর) তার জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন তার জামিনের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তাফা, আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন চৌধুরী।
আইনজীবীরা জানান, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সব মামলায় জামিনে রয়েছেন। সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি নিজে বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে মানহানির মামলাটি করেছিলেন। এ মামলাতেও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা ছিল, সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করে উচ্চ আদালতের দেয়া জামিনের বিষয়ে অবহিত করতে হবে। সেই সঙ্গে পুনরায় নিম্ন আদালত থেকে জামিন নিতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি জামিন নিতে গেলে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন আদালত।
গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শো ‘একাত্তরের জার্নাল’-এ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি প্রশ্ন করেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনি যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন- আপনি বলেছেন আপনি নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকেন।’
মাসুদা ভাট্টির এমন প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’
তার এসব মন্তব্যে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। এরপর রংপুর ও জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মানহানি ও ডিজিটাল আইনে আরও কয়েকটি মামলা হয়।
রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে সব মামলায় জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের এ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।
প্রজন্মনিউজ২৪/নাবিল
ড.ইউনুসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য মানহানিকর : আইনজীবী
গণতন্ত্রের আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত, এ আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হবো : মির্জা ফখরুল
স্বাধীনতা দিবসে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিএনপির শ্রদ্ধা
আইপিএলে ফিরে এসেই বুমরাহর রেকর্ড
১০ বিশিষ্টজনের হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
১৫ বছরে দেড় লাখ মামলা ৫০ লাখ আসামি
ডিপিএল এ মাঠে ফিরেই মাশরাফির নতুন চমকে জয় হয় দলের