২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চূড়ান্ত হয়নি

প্রকাশিত: ১৯ অগাস্ট, ২০১৯ ০৯:০৮:১৪

২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চূড়ান্ত হয়নি

বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন ২২ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) শুরু হওয়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে বলা হলেও বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

সোমবার (১৯ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রিসভায় গত ১-৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর নিয়ে অবহিত করা হয়।

সম্প্রতি মিয়ানমারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী ২২ আগস্ট প্রায় সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়ার দিন ঠিক হয়েছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ২২ তারিখে হচ্ছে- এটা মনে হয় এখনও ফাইনাল হয়নি। সেজন্য বলতে পারছি না।’

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের প্রধানমন্ত্রী এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি দুজনই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। তারা বলেছেন যে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য যত রকমের সহযোগিতা দেয়া দরকার তারা দেবেন এবং মিয়ানমারকে বোঝানোর জন্য চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুবার পাঠানো হয়েছে। আরও যদি পাঠানোর প্রয়োজন হয় তারা পাঠাবেন এবং উনারা যত রকমের সাহায্য সহযোগিতা দরকার দেবেন।

ওখানে পরিবেশ তৈরির জন্যও সাহায্য করবে- এটা একটা বড় প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে এবং ২০৪১ সালে আমরা উন্নত দেশ হবো। এ জন্য যত রকমের সহযোগিতা দরকার সেই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। চীনের বিপরীতে বাংলাদেশের যে বাণিজ্য ঘাটতি আছে-এটা যত কমানো যায়, এটার জন্যও চীন যত রকমের সাহায্য দরকার দেবে।

এছাড়া চীনের অর্থায়নে প্রকল্পগুলোর শর্তাবলি শিথিল করে ঋণের অর্থ যত দ্রুত ছাড় করা যায়, তার জন্য চীন ব্যবস্থা নেবে। এ চারটি প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।’ এদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও প্রত্যাবাসনের জন্য মাঠপর্যায়ে সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নবগঠিত রোহিঙ্গা সেলের মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রত্যাবাসনে সম্মত হওয়াটাই শেষ কথা নয়।

তবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু হতে যাওয়াটা ইতিবাচক। আমরা সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাই।’রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কি চীনের মধ্যস্ততায় হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চীনের একটা বড় ভূমিকা আছে। তিনি আরও বলেন, চীনের সাথে বিভিন্ন সেক্টরে ৯টি এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ সেক্টরে অনেকগুলো এমওইউ এবং নদীশাসন, ট্যুরিজম এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসের জন্য এক্সচেঞ্জ অব রাইটস অব রোহিঙ্গা।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রীর মালয়েশিয়া সফর নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সফরের প্রেক্ষিতে তাদের ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশে আসবে এবং আমাদের যে ম্যানপাওয়ার এক্সপোর্টের বিষয়ে যে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে, সেটি কেটে যাবে।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ