ঈদের দিনেও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

প্রকাশিত: ১২ অগাস্ট, ২০১৯ ০৮:২৯:৪০

ঈদের দিনেও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারা দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।

সোমবার ঈদের দিনেও ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে। ঈদযাত্রায় ভোগান্তির আশঙ্কায় কিংবা কাজের জন্য যারা আগে ঢাকা ছাড়তে পারেননি, তারা আজ বাড়ি যাচ্ছেন।

রাজধানীর সায়েদাবাদ টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের নামাজের পর থেকেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নিজ এলাকায় যাচ্ছেন।

অনেকেই রাজধানীতে চাঁদ রাত (ঈদের আগের রাত) পর্যন্ত ব্যবসা বা বিভিন্ন কাজ করেন। হোটেলের কর্মচারী, মুচি, নরসুন্দর (নাপিত), রিকশা-ভ্যান-পিকআপের চালক, ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের অনেকেই গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। তারা ঈদের আগে রাজধানীতে বাড়তি আয় করতে এবং পরিবহন খরচ বাঁচাতে আজ বাড়ি যাচ্ছেন।

গজারিয়া পরিবহনের বাসে মুন্সীগঞ্জ যাবেন রানা। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ঈদে বাড়ি তো যেতে হবে। কেননা, বাড়ির বাইরে কেউ থাকলে তার পথ চেয়ে বসে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। তাই দেরিতে হলেও আজ ঈদের দিন বাড়িতে যাচ্ছি। দেরিতে গেলেও ঈদের আনন্দে কমতি হবে না।’

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ঈদ আসলে গলাকাটা ভাড়া আদায় করা হয়। এ বছরও একই অবস্থা। ১২০ টাকার ভাড়া ২৫০ টাকা। জিম্মি করে এভাবে গলাকাটা ভাড়া নিচ্ছে। এগুলো দেখার কেউ নেই।’

পল্টনের ফুটপাত ব্যবসায়ী সবুজ রাইজিংবিডিকে জানান, তার বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর। ঈদের আগে ঢাকা ছাড়েননি বাড়তি আয়ের আশায়। চাঁদ রাতে দোকান খুললে বেশি আয় করা যায়।

তিনি বলেন, শ্বশুর বাড়ি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায়। ঈদের আগেই পরিবারের সদস্যরা সেখানে গেছে।  চাঁদ রাতে দোকান করে আজ বেড়াতে যাচ্ছি। আজও বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে।

মাদারীপুরের শিবচরের  বাসিন্দা আতিকুর রহমান বলেন, ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের সময় এই রুটে ভাড়া কয়েক গুণ বেড়ে যায়। মাওয়া ঘাটে ২০০ টাকা ভাড়ার নেয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকা।

ঈদের দিনের যাত্রা সম্পর্কে গজারিয়া পরিবহনের কর্মকর্তা রবিন হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ঈদের দিনে অনেকেই বাড়িতে যান। সে কথা মাথায় রেখে প্রতিবছরই আমরা ঈদের দিনে পরিবহনের ব্যবস্থা রাখি।’

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ