কাশ্মীরি মেয়েদের নিয়ে আগ্রহে চটেছেন নারীবাদীরা

প্রকাশিত: ০৯ অগাস্ট, ২০১৯ ১২:১৩:৪৭

কাশ্মীরি মেয়েদের নিয়ে আগ্রহে চটেছেন নারীবাদীরা

গত সোমবার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করেছে ভারতের বিজিপি সরকার। এর ফলে প্রায় সাত ৭০ বছর ধরে কাশ্মীর যে বিশেষ মর্যাদা পাচ্ছিল তা হারালো। এ ঘটনার পর কাশ্মীরজুড়ে বিরাট উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে একেবারে আলাদা একটা বিষয় আলোচনায় এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই কাশ্মীরি মেয়েদের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে মুখরোচক মন্তব্য করছে। এ নিয়ে বেশ চটেছেন নারীবাদীরা।

গত সপ্তাহের শুরুতেও জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার মধ্যে সম্পত্তি এবং সরকারি চাকরির একচেটিয়া অধিকার তাদের ছিল। তবে কাশ্মীরের যেসব নারী রাজ্যের বাইরের পুরুষদের বিয়ে করেছে বা করে, তাদের এসব অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়।

কাশ্মীর ইস্যুর মধ্যে সেখানকার মেয়েদের বিয়ে করা ও তাদের ছবি ইন্টারনেটে খুঁজে দেখার প্রসঙ্গ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বাংলার মানুষের সন্ধানের ৮৭ শতাংশ খুঁজছেন কাশ্মীরি নারীদের। ১৩ শতাংশ মানুষ কাশ্মীরি মেয়েদের বিয়ের নিয়মকানুন সম্পর্কে জানতে চায়।

এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর এখন দলের নেতাকর্মীসহ যে কেউ কাশ্মীরি মেয়েদের বিয়ে করতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির এক বিধায়ক। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ায় মঙ্গলবার এক উৎসবে বিজেপির উত্তরপ্রদেশের বিধায়ক বিক্রম সিং সাইনি দলীয় নেতাকর্মীদের কাশ্মীরি মেয়েদের বিয়ে করার পরামর্শ দেন।

অনেক নারী ও নারী অধিকার কর্মী অনলাইনে কাশ্মীরি নারীদের নিয়ে এসব মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে। আরেক দিক থেকে সেই সঙ্গে কাশ্মীরি মেয়েদের বিয়ে করার বিষয়টিকে স্বাগতও জানিয়েছেন। কারণ, রাজ্যের বাইরে বিয়ে করার বিধান তাদের নেই। এদিক থেকে এই পরিবর্তনটাকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।

সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট ঋতুপর্ণা চ্যাটার্জি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, এটা খুবই যৌনবিষয়ক। বহু শতাব্দী ধরে মেয়েদের শরীর পুরুষদের যুদ্ধের ময়দান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কাশ্মীরি নারীদের নিয়ে অনলাইনে সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলো সেই সাক্ষ্যই দেয়।

এখন প্রশ্ন- কাশ্মীরি নারীদের বাইরের রাজ্যে বিয়ে করা নিষিদ্ধ ছিল নাকি? তথ্য বলছে, কোনো দিনই ছিল না। বিশেষ মর্যাদাপ্রাপ্ত জম্মু-কাশ্মীরের মেয়েরা তাদের রাজ্যের বাইরে বিয়ে করতেই পারতেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে বিয়ের পরে তারা বাপের বাড়ির সব সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হতেন।

জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়ে গেলে এই বঞ্চিত হওয়ার পর্বও বাতিল হবে। নিজের রাজ্যের বাইরে বিয়ে হলেও সে ক্ষেত্রে কাশ্মীরি নারীরা পিতৃসূত্রে সম্পত্তির উত্তরাধিকারী থাকবেন।

প্রজন্মনিউজ/দেলাওয়ার হোসাইন।

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ