অগাস্টে বন্যার পূর্বাভাস

প্রকাশিত: ০৬ অগাস্ট, ২০১৯ ১০:২২:২৮

অগাস্টে বন্যার পূর্বাভাস

এক দফা বন্যার রেশ কাটতে না কাটতে অগাস্টে দ্বিতীয় দফার বন্যার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, অগাস্ট মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এসময় বঙ্গোপসাগরে দুই-তিনটি বর্ষাকালীন লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরমধ্যে একটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।

“মৌসুমী বৃষ্টিপাতের কারণে অগাস্টে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদী বন্যা সৃষ্টি হতে পারে,” বলেন তিনি।

জুলাইয়ের বন্যায় দেশের ২৮ জেলায় ৬০ লাখ ৭৪ হাজার ৪১৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসময় পানিতে ডুবে, সাপের কামড়ে, বজ্রপাত ও অন্যান্য কারণে ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরইমধ্যে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

২০১৭ সালেও জুলাই-অগাস্ট দুই দফা বন্যার কবলে পড়ে দেশ। জুলাইয়ের দ্বিতীয়ার্ধে মৌসুমের প্রথম বন্যায় অন্তত ১৩ জেলার অনেক উপজেলা প্লাবিত হয়। দ্বিতীয় দফার বন্যায় ৩২ জেলায়  পৌনে ১ কোট মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাতে অন্তত ১৪০ জনের মৃত্যু হয়। এ বন্যার বিস্তার কম হলেও প্রাণহানির দিক থেকে তা ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালের বন্যাকে ছাড়িয়ে যায়।

পানি নেমে গেলেও সেবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তিন মাস পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সাতক্ষীরা, যশোর, কুষ্টিয়া, রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, সীতাকুণ্ডু, ময়মনসিংহ, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও ভোলা অঞ্চলসহ রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ফেনীতে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কিছু কিছু জায়গায় তা অব্যাহত থাকতে পারে।

শ্রাবণের শেষভাগে এসে আবার মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হচ্ছে। তাতে বুধবারের দিকে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান জানান, মৌসুমী বায়ু প্রবল থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

“এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।”

প্রজন্মনিউজ/দেলাওয়ার হোসাইন।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ