ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দুর্ব্যবহারের শিকার’ মুসলিম অধ্যাপিকার

প্রকাশিত: ২৩ জুলাই, ২০১৯ ০৪:৩২:০৮

ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দুর্ব্যবহারের শিকার’ মুসলিম অধ্যাপিকার

সংখ্যালঘু পরিচয়ের কারণে তাকে বৈষম্য, হেনস্থা এবং দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হচ্ছে বলে দিল্লির সংখ্যালঘু কমিশনে অভিযোগ জানালেন ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা রোজিনা নাসির।

 বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে এ নিয়ে নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন। অন্তর্বর্তী নির্দেশও জারি করেছে। রোজিনার অভিযোগ সরাসরি উপাচার্য মামিডালা জগদেশ কুমার এবং তার নিজের বিভাগীয় প্রধান যগতি চিন্না রাওয়ের বিরুদ্ধে।

ঘটনাচক্রে রোজিনা সামাজিক বহিষ্করণ এবং অন্তর্ভুক্তি নিয়েই গবেষণা করেন। ‘সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব সোশ্যাল এক্সক্লুশন অ্যান্ড ইনক্লুসিভ পলিসি’ বিভাগেরই অধ্যাপক তিনি। চিন্না রাও এই বিভাগেরই চেয়ারপার্সন।

পরিস্থিতির চাপে তিনি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছেন বলে জানিয়ে রোজিনা কমিশনকে লিখেছেন, নানা ভাবে তাকে চাকরি ছাড়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগের চিঠিতে তিনি লিখছেন, অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা না হলে হয়তো তাকে আর খুঁজেই পাওয়া যাবে না।

‘জেএনইউয়ের ছাত্র নজীবের মতো আমাকেও হয়তো নিরুদ্দেশ করে দেওয়া হবে।’ ২০১৩ সালে জেএনইউয়ে আসার আগে রোজিনা হায়দরাবাদের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন।

জেএনইউয়ে-ও ২০১৭-র আগে কোনও সমস্যা ছিল না বলে দাবি করেছেন রোজিনা। মেয়াদভিত্তিক পদটির জন্য ২০১৭ থেকে তাকে বেতন দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। যদিও ইউজিসি তার সেন্টারের মেয়াদ বাড়িয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী, এ সব ক্ষেত্রে ইউজিসি বেতন না দিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তা দেওয়ার কথা। রোজিনা গত বছর হাইকোর্টে এ নিয়ে মামলা করে জিতেছেন। এ বছর মে মাসে তাকে বকেয়া বেতন দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছে চলতি বেতন।

প্রজন্মনিউজ২৪/রেজাউল

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ