দেশের ইতিহাসে এত বড় ব্যবসায়ী কখনো অর্থমন্ত্রী হননি,খন্দকার মোশাররফ

প্রকাশিত: ২৩ জুন, ২০১৯ ০৪:৪৪:৩৭

দেশের ইতিহাসে এত বড় ব্যবসায়ী কখনো অর্থমন্ত্রী হননি,খন্দকার মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘জাতীয় সংসদে যেসব ঋণখেলাপির তালিকা দেওয়া হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে, তা আমরা দেখতে চাই।’

আজ রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট আয়োজিত ‘২৩ জুন পলাশী ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষাপটে আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মোশাররফ এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশে এখন বাজার দখলের প্রতিযোগিতা চলছে মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আধিপত্যবাদ এবং সম্প্রসারণবাদ বাংলাদেশের বাজার দখলের জন্য মরিয়া। আজকে সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর জন্য অস্বাভাবিক সরকার অস্বাভাবিক একটা বাজেট করেছে।

‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বড় ব্যবসায়ীকে কখনো অর্থমন্ত্রী বানানো হয়নি। এই অর্থমন্ত্রী সুবিধাবাদীদের জন্য বাজেট দিয়েছেন। অন্যদিকে মধ্যবিত্তদের ওপরে চাপ বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর ভ্যাটের প্রভাব বাড়ানো হয়েছে। সারা দেশের সব জনগোষ্ঠী মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। সেই মোবাইল ফোনে কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১০০ টাকার মধ্যে ২৭ টাকা চলে যাবে। এই একটি উদাহরণেই বোঝা যায়, এই বাজেট সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীদের জন্য করা হয়েছে। যারা মুদ্রা পাচার করে, ঋণখেলাপি তারাই এই বাজেট থেকে সুবিধা পাবে।’

উন্নয়নের গণতন্ত্রের নামে মেগা প্রজেক্ট করে সরকার জনগণের পকেট থেকে টাকা নিচ্ছে দাবি করে ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির বিল বাড়িয়ে ভ্যাট সম্প্রসারণ করে গরিব মানুষের কাছে থেকে টাকা আদায় করছে। আর এর সুবিধা নিচ্ছে সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা।

কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে কারা কালো টাকা কামিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা, আওয়ামী লীগপন্থী ব্যবসায়ীরা। তাদের সুবিধা দেওয়ার জন্যই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এতেই বোঝা যায়, এই সরকার হচ্ছে তাদের সরকার, যাদের স্বার্থে এই বাজেট দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘ব্যাংকগুলোতে দলীয়করণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতাদের সেখানে না বসালে ঋণখেলাপি হতো না। ঋণখেলাপিদের তালিকা সংসদে দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা দেখতে চাই, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়। জনগণের আমানত বিদেশে পাচার করে ব্যাংকগুলোকে খালি করে যারা এই কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কী করে সেটা দেখতে চাই।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল করিম প্রমুখ

প্রজন্মনিউজ২৪/নাবিল

 

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ