বিনোদনের পরিবর্তে ভোগান্তি ছড়াচ্ছে হাতিরঝিল

প্রকাশিত: ১৩ মে, ২০১৯ ০৪:১৮:০০

বিনোদনের পরিবর্তে ভোগান্তি ছড়াচ্ছে হাতিরঝিল

রাজধানীর হাতিরঝিল ইতিমধ্যে পর্যটকদের প্রধান মিলনমেলা হয়ে উঠেছে। সারাদিনের কর্ম ব্যস্হতা শেষে একটু সস্তির শ্বাস নিতে ঝিলের পাড়ে ভীড় জমান  রাজধানীর এই বিনোদন প্রেমী মানুষগুলো। কিন্তু বর্তমানে ঝিলের পানির দূষণ তীব্র আকারে ধারণ করেছে।ফলে দর্শনার্থীরা চরম ভোগান্তির স্বিকার হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে , ঝিলের পানিতে পরিত্যাক্ত বর্জ্য  ভাসছে। পানির রং কালচে ও সবুজ হয়ে বিবর্ণ রূপ ধারণ করছে। ঝিলের প্রায় সব অংশ থেকেই পঁচা পানির দুর্গন্ধ  ভাসছে বাতাসে।এই পানি জীববৈচিত্র ও পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে।নাকে রুমাল চেপে চলা ছাড়া র্দুগন্ধ এড়ানোর উপায় নেই। অসহনীয় দুর্গন্ধ এবং ময়লা পানির রং স্থানীয় জনগণ ও পর্যটকদের দুর্ভোগের কারণ হয়েছে।

ঝিলের পাড়ে বসে থাকা নাজমুল নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ’পচা পানির দুর্গন্ধযুক্ত বাতাস আমাদের স্বাস্তের জন্য ক্ষতিকর । ঝিলের পরিবেশ রক্ষার্থে কতৃপক্ষের গঠনমূলক উদ্যেগ নেয়া দরকার।’ এই দূষণের কারণ জানতে চাইলে তিনি কতৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করেন।

বেসরকারি চাকুরিজীবী  সোহান বলেন, আসে পাশে পরিবেশ বান্ধব বিনোদন কেন্দ্র না থাকায়  উৎকট দূর্গন্ধের মাঝেও বাধ্য হয়ে আসতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ঝিলের পানি শোধন করা দরকার। তাহলে  দর্ষনার্থীদের দুর্ভোগ অনেকাংশে কমে যাবে। তিনি আরো বলেন, পরিবেশের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ঝিলের পাড়ের গাছ – গাছালীর  পরিচর্যা ও গাছ আরো বৃদ্ধি করা দরকার।

হাতিরঝিলের পানি নোংরা হওয়া সম্পর্কে  রাজউকের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ১৩টি পথ দিয়ে মগবাজার, বেগুনবাড়ী, মধুবাগ, নিকেতন, রামপুরা, বাড্ডা, তেজগাঁও, মহাখালী, পান্থপথ, কারওয়ান বাজার ও কাঁঠালবাগান এলাকার পানি হাতিরঝিলে আসে। এই পানির অধিকাংশ থাকে পয়োবর্জ্য মিশ্রিত। এ সমস্যা সমাধানের জন্য হাতিরঝিলে পানি নামার নয়টি পথে বর্জ্য শোধনের যন্ত্র বসানো হয়েছিল। ইতিমধ্যেই কয়েকটি যন্ত্র নষ্ট হয়ে গেছে। আর পানির চাপ বেশি থাকলে এই যন্ত্রগুলো কাজ করে না।

এ বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রধান প্রকৌশলী ও হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক এএসএম রায়হানুল ফেরদৌস বলেন, হাতিরঝিলের পানি দূষণ বন্ধে ৪৯ কোটি টাকায় একটি প্রকল্প করা হয়েছে। ঝিলের পানি শোধনের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি হাই ক্যাপাসিটি এয়ার কম্পেসার স্থাপন করা হবে। দুই পাশে পাইপ লাইন বসানোসহ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পানি দূষণের স্থায়ী সমাধান করা হবে। আগামী মাসে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এ বছরেই প্রকল্পের ফলাফল পাওয়া যাবে।

প্রজন্মনিউজ২৪/নাবিল

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ