প্রকাশিত: ১২ মে, ২০১৯ ০৩:০২:৪০
আধুনিক জার্মানির ইতিহাসে ভয়ঙ্কর এক সিরিয়াল কিলার নার্সের বিরুদ্ধে তিন শতাধিক রোগীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শতাধিক রোগীকে হত্যার দায়ে দেশটির ডেলমেনহর্স্ট হাসপাতালের ওই নার্সকে ইতোমধ্যে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। দু’জন রোগীকে হত্যা ও অন্য চারজনকে হত্যায় ভূমিকা রাখার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বর্তমানে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। অভিযুক্ত এই নার্সের নাম হোজেল (৪২)।
২০০০ সালের পর থেকে পাঁচ বছরে অভিযুক্ত এই সিরিয়াল কিলার অন্তত তিনশ রোগীকে হত্যা করেছেন বলে সন্দেহ করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। ভয়ঙ্কর এই খুনির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তা তদন্তে এক দশকের বেশি সময় লেগে যায়। অন্তত ১৩০ রোগীকে হত্যার পর মরদেহ জার্মানি, পোলান্ড এবং তুরস্কে পাচার করেন তিনি। অভিযোগের ক্লু ধরে তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য পান কর্মকর্তারা। তদন্তে ব্যাপক বেগ পেতে হয় তাদের।
তবে হোজেল মাত্র ৪৩ জন রোগীকে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। এছাড়া আরো ৫২ জনকে হত্যার অভিযোগ আনা হলেও তা নাকচ করেননি তিনি। ঘাতক হোজেলের হাতে হাসপাতালে প্রাণ গেছে ক্রিশ্চিয়ান মারবাচ নামের এক ব্যক্তির দাদার। তিনি বলেন, জার্মানিতে ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ৩ শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে; এটা কীভাবে সম্ভব? দু’জন রোগীকে হত্যা ও আরো চারজনকে হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে একটি মামলায় ২০০৬ সালের পর থেকে কারাগারে বন্দি রয়েছেন এই খুনি।
শতাধিক মানুষকে হত্যার দায়ে তৃতীয় একটি মামলার বিচার চলছে তার বিরুদ্ধে। তথ্য গোপন এবং মিথ্যা বলার দায়ে আদালতের বিচারক হোজেলের সাবেক আট সহকর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। নার্সের এমন সিরিয়াল হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের গাফিলতি ছিল কি-না তা জানতেও ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়েছে। রোগীকে হত্যার দায়ে ডেলমেনহর্স্ট হাসপাতালের অপর দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
প্রজন্মনিউজ২৪/মুজাহিদ
সেভ দ্য রোডের ১৫ দিনব্যাপী সচেতনতা ক্যাম্পেইন সমাপ্ত
রায়পুরে উপজেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
আইপিএল জুয়াড়ি সন্দেহে চারজন গ্রেফতার
চোরের হামলায় স্বামী- স্ত্রী আহত, মামলা হলেও গ্রেফতার হয়নি আসামী!
রাজধানীর বনশ্রীতে আবাসিক ভবনে আগুন
খালেদা জিয়া ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল : শেখ হাসিনা
সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা সিন্দাইনী আর নেই
গাজা: বিমান হামলায় বেঁচে যাওয়া বালকের প্রাণ গেল সাহায্য নিতে গিয়ে