নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন নৈতিক অধিকার নেই বিএনপির

প্রকাশিত: ১০ মে, ২০১৯ ১০:২৪:১৩

নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন নৈতিক অধিকার নেই বিএনপির

৩০ ডিসেম্বরর ভোট ডাকাতি ও প্রহসনের নির্বাচন বিএনপি মানলেও আমি মানতে পারব না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থ। তিনি বলেন, যে নির্বাচনকে (৩০ ডিসেম্বর) সারাদেশবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই নির্বাচনের ১২১ দিন পর সংসদে যোগ দিয়েছে বিএনপি।

এরপর ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার আর কোন নৈতিক অধিকার নেই বিএনপির। সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ব্যারিস্টার পার্থ বলেন, আমার প্রয়াত পিতা এরশাদের মহাসচিব থাকা অবস্থায় ১৯৯৮ সালে বিএনপির সাথে চারদলীয় জোট গঠন করেন।

এরশাদ সাহেব চলে গেলেও আমার পিতা যাননি। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি গঠন করে বিএনপির সাথে থেকে যান এবং আমার পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ৪টি আসন পায়। কিন্তু আমার পিতাকে কেবিনেটে রাখা হয়নি। কারণ তিনি জামায়াতে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। তবু তিনি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ত্যাগ করেননি।

কিন্তু একটা বড় দলের যদি নীতি, নৈতিকতা ও আদর্শ না থাকে তবে তাদের সাথে থাকা দূরহ। যার জন্য বাধ্য হয়েই আমি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ত্যাগ করতে বাধ্য হলাম। তিনি বলেন, আমি আশ্চর্য হয়ে যাই, এখন পর্যন্ত বিএনপির কোন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন না কী কারণে আপনি জোট ছাড়ছেন।

এটা কী রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে। একত্রে থাকলে অনেক সময় মান অভিমান হয়, কিন্তু তাদের নূন্যতম মানবতা নেই, আমাকে জিজ্ঞাসাবাদেরও প্রয়জোন বোধ করেনি তারা। এতে কোন অসুবিধা নেই। আমি আর বিএনপির সাথে নেই। বিএনপি বিশাল বড় দল। আমার মত ছোট দল চলে গেলেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোটের কোন ক্ষতি সাধন হবে না বলে আমি মনে করি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল। তাদের লক্ষ্য কোটি সমর্থক মাঠ পর্যায়ে রয়েছে, যারা দলের প্রতি নিবেদিত। দলের নেতৃত্বের মাঝে সেই ধরণের নিবেদিত প্রাণ নেতার অভাব রয়েছে। আমি ১/১১ সময় দেখেছি সংস্কার পন্থীরা আমার সাথে যোগাযোগ করেছে, তারা আমাকে বলেছেন আমরাই বিএনপিকে নেতৃত্ব দিব।

আমাদের সাথে আসো কিন্তু আমি তা করিনি। কিন্তু আজ ভিন্নচিত্র দেখতে পাচ্ছি। আমি সুস্পষ্ট ভাবে সেদিন বলেছিলাম খালেদা জিয়া ছাড়া কোন নির্বাচন নয়। বিএনপির বহু নেতা জানেন। এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে বিএনপির মাঝে নিবেদিত নেতার ঘাটতি রয়েছে।

এসময় তিনি বিএনপির নেতাদের দলের প্রতি কমিটমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, একজন বলে এক কথা আর এক নেতা বলেন উল্টো কথা। বিশেষ করে সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মহাসচিব সকাল সাড়ে দশটায় বললেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হচ্ছে।

অথচ জোটের ৪০ জন নেতা নির্বাচন বয়কট করেছি। ২০ দলীয় জোটে নির্বাচনকে বয়কট করেছে অথচ ১২১ দিন পর তাদের সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করলেন। এতে করে তাদের আর সরকারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার নৈতিক অধিকার থাকে না। আমি বাধ্য হয়েইে এত বছরের সম্পর্ক ছাড়তে বাধ্য হলাম। তবে বিএনপির জন্য শুভ কামনা সব সময় থাকবে। সূত্র-বিডি২৪লাইভ।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ