ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বৃদ্ধি , রমজানের মধ্যেও যানজটে যাত্রীদের ভোগান্তি , ইফতারেও পানির অভাব ,তারাবি ও সাহরীর সময় কাটে গাড়িতেই

৫০ কিলোমিটার যানজট

প্রকাশিত: ০৯ মে, ২০১৯ ১০:২১:২৯

৫০ কিলোমিটার যানজট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিত্যদিনের যানজটে দুর্ভোগ চরমে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দির রায়পুর থেকে সোনারগাঁও পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় ফণির কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে পড়া মালবাহী যানবাহন এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীর ওপর দ্বিতীয় সেতুর সংযোগের কাজের কারণে মহাসড়ক সঙ্কুচিত হওয়ায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। গত মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে সৃষ্টি হওয়া এই যানজট গতকাল বুধবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানজটের মাত্রা বাড়তে থাকে।

রমজানের মধ্যে প্রচন্ড গরমে যাত্রীদের ভোগান্তি সীমা ছাড়িয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনে বসে থেকে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন যাত্রী ও চালকরা। সন্ধ্যায় ইফতার ও পানির অভাব দুর্ভোগের মাত্রাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ইফতারের সময় দাউদকান্দির গৌরীপুরে যানজটে আটকা থেকে ঢাকাগামী হিমাচল বাসের চালক মোতালেব হোসেন ও এনা বাসের সুপারভাইজার মাসুদ রানা বলেন, এমন যানজটে আটকা পড়ার কথা তারা ভাবতেও পারেন নি।

যাত্রীসহ সবাইকে ইফতারের সময় কষ্ট পেতে হয়েছে। দাউদকান্দির শহীদনগরের দোকানদার রাশেদুল ইসলাম বলেন, স্বাভাবিক দিনের মতো বিক্রির জন্য ইফতারি বানানো হয়েছিল। কিন্তু যানজটের কারণে যাত্রী-চালকের সংখ্যা বেড়ে যায়। তবে বাড়তি চাহিদা পূরণ করা যায়নি।

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর মুন্সী ফজলুর রহমান সরকারি ডিগ্রি কলেজের মানবিক শাখার এইচএসসি পরীক্ষার্থী তানিয়া আক্তার, ইমরান হোসেন, মাসুদ আলম বলে, কৃষিবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার দিন রওনা দিয়ে যানজটে আটকে পড়ে তারা। রোজা রেখে প্রচন্ড গরমের মধ্যে ছয় কিলোমিটার পথ হেঁটে ও দৌঁড়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে হয়েছে।

এদিকে রমজানকে কেন্দ্র করে মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্টাক ও কভার্ডভ্যান চলাচলের মাত্রা বেড়েছে দ্বিগুণ। অন্যদিকে যানজটের কারণে পণ্য পরিবহনে যোগ হচ্ছে বাড়তি খরচ। আবার মহাসড়কের মাঝে যানবাহনেই আতঙ্কে রাত কাটছে অনেকের। হাইওয়ে পুলিশের দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণির কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে পড়া মালবাহী যানবাহন এবং মেঘনা নদীর ওপর দ্বিতীয় সেতুর সংযোগের কাজের কারণে মহাসড়ক সঙ্কুচিত হওয়ায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে।

যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে হাইওয়ে পুলিশের প্রাণপণ চেষ্টা চলছে। গত সপ্তাহে সরজমিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে প্রায় প্রতিদিনই গড়ে ১৫-২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজট দেখা গেছে। একই সময় ঢাকা থেকে কুমিল্লা-চট্টগ্রামগামী অনেকেই মেঘনা সেতুর পশ্চিম পাড়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা যানজটে আটকে ছিলেন।

অনেকে কুমিল্লা থেকে সকাল ৭ টায় যাত্রা করে ১০ টায় গোমতী সেতু পর্যন্ত পৌঁছান।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ