ধূমপান-দূষণ থেকে ফুসফুস ভাল রাখার উপায়

প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল, ২০১৯ ০৩:৪৫:৩৫ || পরিবর্তিত: ২৭ এপ্রিল, ২০১৯ ০৩:৪৫:৩৫

ধূমপান-দূষণ থেকে ফুসফুস ভাল রাখার উপায়

ধূমপানের অভ্যাস ছাড়তে চেয়েও বারবার ব্যর্থতার মুখ দেখতে হয়েছে অসংখ্য মানুষকে। অভ্যাস বা পরোক্ষ ধূমপানও তিলে তিলে মারাত্মক ক্ষতি করছে ফুসফুসের। বাতাসে বাড়তে থাকা দূষণের ফলেও ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি হয়। তবে এমন কিছু খাবার বা মশলা রয়েছে যেগুলো দূষণ বা ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করতে অনেকটাই সক্ষম।

১) ব্রকোলি: ফুলকপির মতো দেখতে সবুজ রঙের এই সবজিটি এখন যে কোনও বাজারেই পাওয়া যায়। ব্রোকলিতে রয়েছে ভিটামিন সি, ফাইবার, আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে সামগ্রিকভাবে সুস্থ রাখে। ভিটামিন সি শরীরের পরিপাকতন্ত্রকে ঠিক রাখে। সুতরাং, ব্রকোলি খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক মতো হবে আর ফুসফুসে নিকোটিনের খারাপ প্রভাবও কম পড়বে!

২) কমলা লেবু: কমলা লেবু খেতে কে না ভালবাসেন! নিকোটিন শরীরে গেলে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ কমিয়ে দেয়। শরীরে ভিটামিন সি-এর সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারে কমলা লেবু। কারণ, কমলা লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। নিকোটিন থেকে যে ক্লান্তি এবং শারীরিক অস্বস্তি তৈরি হয়, কমলা লেবুর এক কোয়া খেলে তা সহজেই কেটে যাবে।

৩) মধু: মধুতে থাকা বেশ কিছু ভিটামিন, উত্সেচক এবং প্রোটিন শরীর থেকে নিকোটিন বের করে দেওয়ার পাশাপাশি ধূমপানের ইচ্ছাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণ মধু সেবনের মাধ্যমে ধূমপানের অভ্যাস কাটাতে সুবিধা হয়।

৪) পালং শাক: পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফাইবার ও মিনারেল যা শরীর থেকে নিকোটিন বের করে দিতে সাহায্য করে!

৫) বাঁধাকপি: বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা রক্ত পরিষ্কার করে শরীরকে সুস্থ এবং তরতাজা রাখতে সাহায্য করে।

৬) আঙুরের রস: ধূমপানের ফলে শরীরে নিকোটিনের মাধ্যমে জমতে থাকা টক্সিন ফুসফুসের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এই টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে গেলেই ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আঙুরের রস ফুসফুসকে টক্সিন-মুক্ত করতে অত্যন্ত কার্যকর। শুধু তাই নয়, আঙুরের রস ধূমপানের ইচ্ছাও কমাতে সাহায্য করে।

৭) মূলা: ১ গ্লাস মূলার রসের সঙ্গে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে দিনে ২ বার করে নিয়মিত খেতে পারলে ধূমপানের ইচ্ছা অনেকটাই কমে যায়। শুধু ধূমপানের অভ্যাসই নয়, যে কোনও ধরনের নেশামুক্তির ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদিক চিকিত্সায় যুগ যুগ ধরে মূলার উপরই ভরসা রাখা হয়।

৮) লঙ্কা গুঁড়ো: একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যদি নিয়মিত লঙ্কা গুঁড়ো বা লঙ্কা খাওয়া যায়, তাহলে ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, ধূমপান করার ইচ্ছাও কমতে শুরু করে। প্রতিদিন এক গ্লাস জলে এক চিমটে লঙ্কার গুঁড়ো ফেলে খেতে পারলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।

৯) আদা: ধূমপানের অভ্যাস ছাড়াতে আদার রস অত্যন্ত কার্যকর! আদা চা বা কাঁচা আদা নিয়মিত খেলে ধীরে ধীরে ধূমপানের ইচ্ছে কমে যায়।

প্রজন্মনিউজ২৪/মুজাহিদ

 

 

 

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ