ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট

টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল, ২০১৯ ০৬:৩২:১২

টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের শিরোপা লড়াইটা এসে ঠেকেছিল একেবারে সুপার লিগের শেষ ম্যাচে। সুপার লিগের শেষ ম্যাচে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা আবাহনী মুখোমুখি হয়েছিল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের। অন্যদিকে সমান পয়েন্ট পাওয়া লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ মুখোমুখি হয়েছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের। যে হারবে, শিরোপা হাতছাড়া হবে তাদেরই। পয়েন্ট সমান হওয়ায় রানরেটের দিকেও লক্ষ রাখতে হচ্ছিল।

তবে সৌম্য সরকারের ইতিহাস গড়া ডাবল সেঞ্চুরি ইনিংসের ওপর ভর করে শেখ জামালকে নয় উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী লিমিটেড। সাভারের বিকেএসপি মাঠে আবাহনীর হয়ে আজ অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছেন সৌম্য সরকার। প্রিমিয়ার লিগে অফফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যান চারদিক থেকে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছিলেন। তবে লিগের শেষ দুই রাউন্ডে আবাহনীর শিরোপা জয়ের নায়ক হয়েছেন সৌম্যই। ঠিক আগের ম্যাচে রূপগঞ্জের বিপক্ষে মহারণে করেছিলেন ঝোড়ো সেঞ্চুরি।

আজ  টর্নেডো ইনিংস খেলে গড়েছেন নতুন ইতিহাস। বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। রেকর্ড গড়া দ্বিশতক ইনিংসে ১৪৯ বলে ২০০ রান পূর্ণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৫৩ বলে ১৪টি চার ও ১৬টি ছক্কায় ২০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। শেখ জামালের করা ৩১৭ রানের ইনিংস তাড়া করতে নেমে দারুণ সূচনা করেন আবাহনীর দুই ওপেনার সৌম্য এবং জহুরুল ইসলাম।

দুজনের মারমুখী ব্যাটিংয়ে ইনিংসের ১৭তম ওভারে শতরান পূর্ণ হয় আবাহনীর, ২০০ পূর্ণ হয় ২৯তম ওভারে। একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন জহুরুল ইসলাম। ১২৮ বলে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কায় বরাবর ১০০ রান করে আউট হন জহুরুল। অন্যদিকে, ৭৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা সৌম্য দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। ৪৮তম ওভারের প্রথম বলে তাইজুলকে উড়িয়ে ছক্কা মেরে জয়সূচক রান করেন সৌম্য। ইনিংসের তখনো ১৭ বল বাকি।

এর আগে তানবির হায়দারের সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩১৭ রান করে শেখ জামাল। শূন্য রানে জীবন পাওয়া তানবির ১১৫ বলে ১০টি চার ও ছয় ছক্কায় ১৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন এই স্পিনিং অলরাউন্ডার। এ ছাড়া ইলিয়াস সানি ৪৫ ও মেহরাব হোসেন ৪৪ রান করেন। ১৬ ম্যাচ শেষে আবাহনী ও রূপগঞ্জ দুই দলের পয়েন্ট দাঁড়ায় ২৬। তবে রানরেটে এগিয়ে থাকায় চ্যাম্পিয়ন হয় আবাহনীই। ইতিহাস গড়া ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন সৌম্য সরকার।

প্রজন্মনিউজ২৪/মামুন

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ