বিজিএমইএ ভবন নিয়ে বড় ভুল ইপিবির : সিদ্দিকুর রহমান

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল, ২০১৯ ০৪:৫২:১৭

বিজিএমইএ ভবন নিয়ে বড় ভুল ইপিবির : সিদ্দিকুর রহমান

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান জানিয়েছেন, হাতিরঝিলের ভবনটি নিয়ে সবচেয়ে বড় ভুল করেছে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। তিনি বলেন, ‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তারা (ইপিবি) আমাদেরকে সঠিক জায়গায় জমি বুঝিয়ে দেয়নি। জমি ভালোভাবে বুঝে নিতে না পারাটাও আমাদের ব্যর্থতা ছিল।’

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ’র নবনির্মিত কমপ্লেক্সে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমি বিজিএমইএ’র সভাপতি হিসেবে তিন বছর সাত মাস দায়িত্ব পালন করেছি। এ সময়ে সবচেয়ে বড় সফলতা হলো— হাতিরঝিলের অবৈধ ভবন থেকে নতুন করে রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ’র বৈধ ভবনে আসতে পারা।’

তিনি বলেন, ‘নতুন ভবনে আর কোনও আইনি ত্রুটি নেই। নতুন ভবনের জায়গা নিয়ে আগামীতে আর কেউ প্রশ্নও তুলতে পারবে না। সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এই ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।’ ভবন ভাঙার জন্য নতুন করে আদালতে সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আমরা ভবন ভাঙার পক্ষে। এ বিষয়ে আদালতে মুচলেকা দিয়েছি। আমি এখনও বিজিএমইএ’র সভাপতি। আমাদের পক্ষ থেকে কোনও সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়নি। যদি কেউ সময় বাড়ানোর আবেদন করে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আদালত যেন ব্যবস্থা নেন, সেই দাবি করছি।’

এসময় তিনি আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ হারে নগদ সহায়তার দাবি জানান। সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আপদকালীন সহায়তা হিসেবে আগামী অর্থবছরের বাজেটে পোশাক শিল্প রক্ষায় অন্তত একবছরের জন্য পাঁচ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দাবি করছি। এতে সরকারের  ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হলেও এর বিপরীতে সরকার এই শিল্প থেকে চারগুণ বেশি রাজস্ব পাবে।’

ভ্যাটের (মূল্য সংযোজন কর) নামে পোশাক ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘পোশাক শিল্প ভ্যাটের আওতামুক্ত থাকলেও আমরা এর হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছি না। তাই এনবিআরকে বলবো— ভ্যাটের নামে পোশাক ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধ করুন।’

এখনও বিভিন্ন ব্যাংক ডাবল ডিজিটে ঋণের সুদহার আদায় করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে আমানতের সর্বোচ্চ সুদহার ৬ শতাংশ এবং ঋণে ৯ শতাংশ করার কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত উদ্যোক্তারা বাস্তবে এর কোনও সুফল পাচ্ছে না।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— বিজিএমইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, সহ-সভাপতি এস এস মান্নান (কচি), সহ-সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাছির প্রমুখ

প্রজন্মনিউজ২৪/মুজাহিদ

 

 

 

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ