প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল, ২০১৯ ০৫:২১:১৪
মুজাহিদ, স্টাফ রিপোর্টার: বৃষ্টি সবাই ভালোবাসে।বৃষ্টির দিনে গরম থাকে না তাই অনেক শান্তিতে নিজেদের কাজ শেষ করা যায়।কিন্তু যখন ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয় অনেকেই চান বাসা থেকে না বের হতে।কারণ রাস্তায় বের হলেই মনে হয় আশীর্বাদের বৃষ্টি যেন অভিশাপে পরিণত হয়েছে।
ঢাকার রাস্তাগুলোর অবস্থা এখন এতো করুণ যে, সামান্য বৃষ্টি হলেই সেসব রাস্তা যেন এক হাঁটু পানির পুকুরে পরিণত হয়।আর এই জলাবদ্ধতা থেকে রাস্তা ভেঙ্গে ভাঙ্গা রাস্তার সৃষ্টি করে।তাই বৃষ্টির দিনগুলোতে রাজধানীবাসীদের দেখা যায় হয়তো পানি জমে থাকা রাস্তায় জ্যামে বসে থাকতে অথবা কাউকে দেখা যায় ইঞ্জিনে পানি ঢুকে নষ্ট হওয়া গাড়ি নিয়ে বসে থাকতে।তাদের সবার মনে হয়তো তখন একটি গানই চলতে থাকে,সঞ্জিব চট্টোপাধ্যায়ের গান 'গাড়ি চলে না'।
রাজধানীর অভিজাত এলাকা যেমন, গুলশান, বনানী থেকে শুরু করে ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মতিঝিল, মুগদা, মগবাজারসহ অধিকাংশ এলাকার প্রধান সড়ক এবং অলিগলি পর্যন্ত খানাখন্দ বা গর্তে ভরা। কোথাও ইট ফেলে কোনোমতে চলাচলের উপযোগী রাখা হয়েছে সড়কগুলো। যেসব জায়গা গুলা বৃষ্টি হলেই পরিণত হয় ছোট খাটো জলাশয়ে।যার ফলে ব্যাহত হচ্ছে চলাচল ব্যাবস্থা।
অন্যদিকে বৃষ্টিতে মিরপুরবাসীর সমস্যা যেন একটু বেশী।মাত্র ১-২ ঘণ্টার বৃষ্টি হলেই মিরপুরের রাস্তাঘাট যেন ময়লা পানির এক পুকুরে পরিণত। এক পশলা বৃষ্টিতেই মিরপুরের পল্লবী, বর্ধিত পল্লবী, রূপনগর ও অন্যান্য ব্লকের আবাসিক এলাকাগুলোর অলি-গলিতে ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতেই জমে যায় অনেকখানি পানি।মিরপুর ১২ থেকে মিরপুর সাড়ে ১১ পর্যন্ত পুরো রাস্তা প্রায় হাঁটু পানিতে ডুবে যায়।
আবার মিরপুর ১০ এর পর থেকে কাজীপাড়া থেকে শ্যাওড়াপাড়া পর্যন্ত রাস্তা পুরো পানিতে ডুবে যায়।এসময় রাস্তার পানি চলাচলের জন্য ম্যানহলের ঢাকনাগুলো খুলে দেয়া হয়।কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয় না।এই রাস্তায় অনেক সময় বৃষ্টিতে রিকশা উল্টে যায়। বৃষ্টিতে এই অতিরিক্ত জলাবদ্ধতার ফলে সৃষ্টি হয় যানজট।
সূত্র মতে, ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজধানীর মাত্র ৩০ শতাংশ এলাকায় সুয়ারেজ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এসব লাইনের বেশিরভাগই এখন অকেজো। ফলে বৃষ্টি হলেই খোলা ড্রেন দিয়ে মলমূত্র নিষ্কাশন হচ্ছে; রাস্তা সয়লাব হচ্ছে। বাসাবাড়িতেও ঢুকে পড়ছে এসব পানি। অনেক সময় ওয়াসার পানির লাইনেও ময়লা পাওয়া যাচ্ছে।
জানা যায়, ঢাকা ওয়াসা যে ৩০ শতাংশ এলাকায় পয়ঃনালা হয়েছে। এর জন্য কোনো মহাপরিকল্পনা ছিল না। যে ৩০ ভাগ এলাকা নিয়ে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা আছে, সেখানেও ব্যাপক সংস্কার দরকার। এসব বিষয় সামনে রেখে রাজধানী ঢাকাকে শতভাগ পয়ঃনিষ্কাশনের আওতায় আনার লক্ষ্যে ২০১২ সালে ঢাকা ওয়াসা মহাপরিকল্পনা তৈরি করে। ডেনমার্কের গ্রন্টমিজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান এ মহাপরিকল্পনা তৈরি করে।
ঢাকা ওয়াসার অধীনে প্রায় ৪০০ বর্গকিলোমিটার রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনা (ডিএমডিপি) অঞ্চলের মোট ১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার আওতায় আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়। প্রায় ১৩ হাজার ১২০ কোটি টাকা (১৬০ কোটি ডলার) ব্যয়ে এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ৩ কোটি ২০ লাখ জনগোষ্ঠী উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
কিন্তু অত্যান্ত ধীরগতি ও পরিকল্পনা মাফিক কাজ না হওয়ায় এ প্রকল্পও অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও ঢাকা শহরকে বিভিন্ন পর্যায়ে ভাগ করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সেবা নিশ্চিত করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে ঢাকা ওয়াসা সূত্র জানায়।
পরিমাপে কম দেওয়ায় মহাখালীর ইউরেকা এন্টারপ্রাইজ ফিলিং স্টেশনকে জরিমানা
ছয় দিনের সরকারি সফরে আজ বুধবার থাইল্যান্ড গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টা
বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিসকা’র অনুমতি দেয়নি ঢাবি প্রশাসন
গাজার অর্ধেক জনসংখ্যা ‘অনাহারে’ : জাতিসঙ্ঘ
চুয়াডাঙ্গায় সকালে ইসতিসকার নামাজ আদায়, রাতেই নামল স্বস্তির বৃষ্টি
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলের ভেতর গভীরতম হামলা হিজবুল্লাহর
Severity: Notice
Message: Undefined index: category
Filename: blog/details.php
Line Number: 417
Backtrace:
File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler
File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view
File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view
File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once