ফের বরগুনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদধস, পাঠদান বন্ধ

প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০৬:০৪:৪২

ফের বরগুনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদধস, পাঠদান বন্ধ

বরগুনার তালতলী উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ ধসে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সদর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের ছাদের একাংশ ধসে পড়েছে। এ ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ঘটনায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর বিদ্যালয়টির পাঠদান কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল সোয়া নয়টার দিকে ক্লাস চলাকালে বরগুনা পৌর শহরের আমতলা পাড় এলাকার ১৬নং মধ্য বরগুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। তবে অল্পের জন্য বেঁচে গেছে সেখানকার শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টির শ্রেণিকক্ষের ছাদের একাংশ ধসে পড়েছে সেখানে প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছিল। ছাদের একাংশ যেখানে ভেঙে পড়ে সেখোনে রিফাত নামের এক শিক্ষার্থী বসে ছিল। তবে রিফাত ইউনিফর্ম পরে না আসায় তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রিফাত ওই স্থান থেকে উঠে বাসায় যাওয়ার এক থেকে দেড় মিনিটের ব্যবধানে ছাদ ধসের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীমা নিপা বলেন, দু'বছর আগে তিনি এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। এই দুই বছরের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনের কোনও সংস্কার হয়নি। এমনকি ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া এবং এ ভবনের ছবিসহ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলেও তারা কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ছাদের পলেস্তারা ধসে পড়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। এ অবস্থায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সাময়িকভাবে বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পুনরায় পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরগুনা সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান বলেন, এ ঘটনা শুনে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভবনটির যে যে স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে, সে স্থানের পলেস্তারা ফেলে দিতে বলা হয়েছে।

বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমএম মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখন প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে দেখবো শ্রেণিকক্ষগুলো পাঠদানের উপযোগী আছে কিনা। পাঠানের উপযোগী থাকলে শিশুদের মধ্যে সাহস সঞ্চার করে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা বারোটার দিকে তালতলী উপজেলার ছোটবগী পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গ্রেড ভিম ধসে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মানসুরা বেগম নিহত হয়। এসময় আরও পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়।

প্রজন্মনিউজ২৪/শরিফুল ইসলাম

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined index: category

Filename: blog/details.php

Line Number: 417

Backtrace:

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ