এবার প্রস্তুতি নিয়ে আন্দোলনে নামব: মঈন খান

প্রকাশিত: ০৫ এপ্রিল, ২০১৯ ০৩:২৯:৪৬

এবার প্রস্তুতি নিয়ে আন্দোলনে নামব: মঈন খান

আন্দোলন নিয়ে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ক্রমাগত দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমরা রাজপথে নামব। কিন্তু প্রস্তুতি নিয়ে নামব। ১০জন লোক গিয়ে পুলিশ, র‌্যাব, মিলিটারির মার খেয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসব, সেই ব্যর্থ আন্দোলনের অংশীদার আমি হব না।শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে সেগুনবাগিচার স্বাধীনতা হলে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় ড. মঈন খান এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে এ সভা আয়োজন করে ‘নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম।

এর আগে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ওপর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ‘অতিমাত্রার’ আস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘দলের জন্য বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী জেল খাটবে, সর্বস্বান্ত হবে, জুলুম-নির্যাতন সহ্য করবে। আর আপনারা (বিএনপির শীর্ষ নেতা) অন্যকে ‘বাপ’ ডাকবেন, তা হবে না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে রাজপথে আন্দোলন দিন। শুধু আলোচনা সভা করে ম্যাডামকে মুক্ত করা যাবে না।আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ’র মতো অন্য বক্তারাও একই দাবি তোলেন তাদের বক্তব্যে।

তাদের পরিষ্কার দাবি, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে শিগগিরই রাজপথে কর্মসূচি দিতে হবে।পরে এই নেতা বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আমরা মুক্ত করে আনব। অনেকে বলেছেন সংগ্রামের কথা, অনেকে বলেছেন লাখ লাখ মানুষকে রাস্তায় নামানোর কথা। অনেকেই আমাদের প্রশ্ন করেন। অবশ্যই প্রশ্ন করবেন। প্রশ্ন করাটাই মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। উত্তর দেওয়ার অধিকার আমাদের রয়েছে, এটাও কিন্তু সত্য।ড. মঈন খান বলেন, ‘উত্তরটি হচ্ছে এই, হ্যাঁ, আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনব। আমরা কারও কাছে দাবি জানাব না। আমরা রাজপথে নামব। আমরা শক্তি সঞ্চয় করব।

একটি স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হলে পর্যাপ্ত শক্তি সঞ্চয় করতে হয়’ মন্তব্য করে ড. মঈন খান বলেন, `সেই শক্তি সঞ্চয় করব। আজকে যদি এক লাখ লোক আমরা রাস্তায় নামাতে পারি, সেটা এক ধরনের আন্দোলন। আর যদি ১০ জন মানুষ রাস্তায় নামে, সেটা অন্য ধরনের আন্দোলন।বক্তব্য দিয়ে আন্দোলন হয় না’— সহকর্মীদের এমন বক্তব্য সমর্থন করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন, বক্তব্য দিয়ে আন্দোলন হয় না। তবে বক্তব্যেরও প্রয়োজন রয়েছে। বক্তব্য দিয়ে সবাইকে সংগঠিত করতে হয়। বক্তব্যের  প্রয়োজনীয়তা এখানেই।

কর্মীদের আশ্বস্ত করে মঈন খান বলেন, ‘আন্দোলনের পরিবেশ আমরা তৈরি করব, আন্দোলন হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলের তালা ভেঙে মুক্ত করে আনব।জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখা করতে গিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি কথা মনে রাখতে হবে। এই দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফেরাতে হলে, যারা গণতান্ত্রিক তাদের সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে আনতে হবে। নইলে স্বৈরাচারকে আমরা হটাতে পারব না। সুতরাং নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নই। দ্বন্দ্ব আমাদের স্বৈরাচারের সঙ্গে।ড. মঈন খান বলেন, ‘অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, কে কাকে নেতা মেনেছেন। এটা কিন্তু ভুল প্রশ্ন।

আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি নেতা নির্বাচন করার জন্য নয়। আমাদের বর্তমান নেত্রী একজন-ই, তিনি বেগম খালেদা জিয়া।’নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহসহ অন্যরা।

প্রজন্মনিউজ২৪/মামুন

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ