আমার মতো নির্যাতিত আর কেউ নেই

প্রকাশিত: ২০ মার্চ, ২০১৯ ০৪:৫১:৩২

আমার মতো নির্যাতিত আর কেউ নেই

বাংলাদেশে তার মতো আর কোনও নির্যাতিত নিপীড়িত নেতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। বলেন, ‘আমার মতো নির্যাতিত, নিপীড়িত নেতা বাংলাদেশে আর একজনও নেই।’

বুধবার সকালে ঢাকার গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে নিজের জন্মদিনের এক অনুষ্ঠানে সাবেক এই স্বৈরশাসক একথা বলেন। দলের চেয়ারম্যানের ৯০তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করের নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠানে হুইল চেয়ারে করে আসেন এরশাদ।

এরশাদ বলেন, ‘স্ব-ইচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পর পাঁচদিনের মাথায় আমাকে জেলে যেতে হয়েছে। আমার ওপর নানারকম অত্যাচার নির্যাতন চালানো হয়েছে। মনে জোর ছিল বলে টিকে আছি। কেউ আমাকে দমাতে পারেনি।’

১৯৮২ সালে বিচারপতি সাত্তারকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে রাষ্ট্রপতি হন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ক্ষমতায় থেকেই প্রতিষ্ঠা করেন তার দল জাতীয় পার্টি। সম্মিলিত বিরোধী দলের আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন এই স্বৈরশাসক।

বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার এরশাদকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নেয়। এরপর ক্ষমতায় আসেন খালেদা জিয়া। পতনের পর এরশাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ৪২টি মামলা হয়। তিনটি মামলায় তার সাজার আদেশ হয় এবং একটিতে সাজা ভোগ করেন। খালেদা সরকারের মেয়াদের পুরোটাই জেল খাটতে হয় এরশাদকে। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ১৯৯৭ সালের জানুয়ারিতে কারামুক্ত হন তিনি।

মনজুর হত্যা মামলার প্রসঙ্গ টেনে এরশাদ বলেন, ‘এ মামলার রায় একাধিকবার রায় লেখা শেষ হলেও শেষ পর্যন্ত রায় দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে রায় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে স্বাক্ষ্য প্রমাণ নিয়েছে। এভাবে নির্যাতন সহ্য করেছি। এখনো অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছি।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এরশাদ বলেন, ‘আমার শেষ কথা জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করুন। দলকে আগামীতে ক্ষমতায় আনুন।’

অনুষ্ঠানে দলের চেয়ারম্যান স্বামীর পাশেই বসছিলেন জাপা কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার সুফল দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন এরশাদ।’

রওশন তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলা অন্যায়। এতে সিএমএইচের ডাক্তাররা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আর্মিদের নিয়ে খারাপ কথা বলবেন না।’

রওশন এরশাদের কথা থামিয়ে দিয়ে আরেকজন কথা বলায় হলের মধ্যে খানিকটা হট্টগোল তৈরি হয়। এসময় রওশন তাদের থামিয়ে দিয়ে এরশাদের জন্মদিনের স্লোগান তোলেন। পরে এরশাদ হুইল চেয়ারে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।

প্রজন্মনিউজ২৪/দেলাওয়ার হোসাইন।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ