টেরেন্টের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হচ্ছে না!

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ, ২০১৯ ০৩:০৫:২৯

টেরেন্টের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হচ্ছে না!

ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে অর্ধশত মুসল্লিকে হত্যাকারী অস্ট্রেলিয়ার শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসীকে নজিরবিহীন সাজা দেয়া হবে, যাতে তিনি কখনও কারাগার থেকে বের হওয়ার আবেদন করতে না পারেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো সন্ত্রাসের অভিযোগ আনা হয়নি।

আইন বিশ্লেষকদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন তথ্য দিয়েছে। ২৮ বছর বয়সী ওই অস্ট্রেলীয় সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে, যাতে তার যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে।নিউজিল্যান্ডে কেউ হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে সম্ভাব্য প্যারোলের আগে তাকে ন্যূনতম ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার আইন আছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেরেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ খুবই মারাত্মক। তাকে কঠোর সাজা দিতে পারেন বিচারক। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটিতে ১৯৬১ সালে মৃত্যুদণ্ড আইন বাতিল করা হয়েছে।ফৌজদারি আইনজীবী সিমন কুলেন বলেন, কোনো প্যারোল ছাড়াই তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হতে পারে।

এমন সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। আর এমন সাজা দেয়া হলে তা হবে নজিরবিহীন।তিনি বলেন, এটি এমন একটি পরিস্থিতি, যাতে কঠোর সাজা দেয়াই হবে স্বাভাবিক।নিউজিল্যান্ডে হত্যাকাণ্ডের দায়ে এ পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ সাজা দেয়া হয়েছে ২০০১ সালে।

তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উইলিয়াম বেল নামে এক অপরাধীকে ন্যূনতম ৩০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ বিল হজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরদার্ন এ ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদী হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করলেও এ জঙ্গির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা থেকে বিরত থাকতে পারেন কৌঁসুলিরা।

যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ হামলার পর দেশটিতে সন্ত্রাসীবাদী আইন প্রণয়ন করা হলেও আদালতে যা অপরীক্ষিতই রয়ে গেছে।হজ বলেন, এর আগে আমরা কখনও সন্ত্রাসবাদের আইন ব্যবহার করিনি। যারা কোনো গোষ্ঠী, আর্থিক কিংবা প্রকাশনার মতো কোনো কিছুতে জড়িত, তাদের নিবৃত্ত কিংবা শাস্তি দিতেই এ আইনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এর আগে হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও নরহত্যার মতো কোনো অপরাধে সন্ত্রাসবাদ আইন ব্যবহার দেখা যায়নি। কাজেই এখানে সেটির ব্যবহারের কোনো কারণ আমি দেখছি না।

তবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অভিযোগে মামলা করা হলে তিনি আপিল করার সুযোগ পাবেন বলেও মন্তব্য করেন এ আইন বিশেষজ্ঞ।তার মতে, আপিল কার্যক্রমের ভেতরেই এ আইন অপরীক্ষিত। কাজেই কোথায় সমস্যা সেটি খুঁজে বের করবেন আপিল আদালত।

কুলেন বলেন, পুলিশ যখন তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছে, তখন প্রথম অভিযোগ দিয়েই কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা নিউজিল্যান্ডে অস্বাভাবিক কিছু নয়।

প্রজন্মনিউজ২৪/মামুন

 

 

 

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ