প্রকাশিত: ১৬ মার্চ, ২০১৯ ০২:৩৮:৫৫
দীর্ঘ সাত বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ রয়েছে। দ্বিতীয় বৃহৎ এই বাজারে সরাসরি শ্রম ভিসা বন্ধ থাকলেও চালু রয়েছে প্রায় অন্য সব ধরনের ভিসা।
অন্যদিকে বিগত এক বছরে দেশটির সরকার ভিজিট বা ভ্রমণ ভিসা অনেকটা সহজ করায় সেই সুযোগ নিয়ে বহু বাংলাদেশি এসেছে দেশটিতে। কিন্তু কাজের উদ্দেশে ভিজিট ভিসা নিয়ে আমিরাতে আসলেও তাদের অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও দেশে ফিরে যাননি।
যে কারণে এসব বাংলাদেশিরা আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন দেশটিতে।আমিরাত সরকারের দেওয়া ভ্রমণ ভিসা নিয়ে অনেক বাংলাদেশি দেশটিতে এসে ‘ইনভেস্টর ভিসা’ বা বিনিয়োগকারীর ভিসা নিয়ে বৈধ হলেও, অনেকে তা পারেননি।
এরই মধ্যে সম্প্রতি আমিরাত সরকার দেশটিতে অবৈধদের জায়গা দিলে মালিকদের মোটা অঙ্কের জরিমানা, এমনকি কারাদণ্ড দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ভিজিট ভিসাধারীরা।আমিরাতের আইন অনুযায়ী ভিজিট ভিসায় কেউ দেশটিতে প্রবেশ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফিরে না গেলে তারা অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত হবেন।
এছাড়া যারা সরকারের দেওয়া সাধারণ ক্ষমা গ্রহণ করে দেশটিতে ‘জব সিকার’ ভিসা গ্রহণ করে দেশটিতে বৈধ হননি কিংবা নিজ দেশে ফিরে যাননি তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দু’য়ে মিলে সরকারের এমন কঠোর সিদ্ধান্তে গ্রেপ্তার এবং জরিমানার আতঙ্কে রয়েছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
ইতিমধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান আইন অমান্য করে স্পন্সরশিপ ছাড়া একজন শ্রমিককে কাজে নেওয়ার অপরাধে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে আবুধাবির সুপ্রিম কোর্ট ওই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার দিরহাম (প্রায় ১২ লাখ টাকা) জরিমানা করে এবং অবৈধভাবে বসবাসকারী কর্মীকে ২ মাসের জেল ও দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেয়।
প্রতিষ্ঠানটির জরিমানা ও শ্রমিকের জেল হওয়ার সংবাদটি স্থানীয় ইংরেজি গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর থেকে এখানকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ভ্রমণ ভিসায় এসে যারা অবৈধভাবে দেশটিতে কাজ করছেন তাদের মধ্যে আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে।
আমিরাতের দুবাইয়ে কর্মরত বেশ কিছু বাংলাদেশি নাম না জানানোর শর্তে বলেন, ‘কাজের জন্য ৮ মাস আগে দুবাইয়ে এসেছিলাম ভিজিট ভিসায়, আমাদের অনেকে ইনভেস্টর ভিসা লাগিয়ে কাগজপত্র সম্পন্ন করে বৈধ হয়েছে, কিন্তু আমরা পারিনি।’
ওই বাংলাদেশি আরও বলেন, ‘ভিজিট ভিসায় কিংবা অবৈধদের দেশে এখন আর কেউ কাজ দেয় না। আমিরাত সরকার অবৈধ প্রবাসীদের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকায় আগে অনেকেই কাজ পরিবর্তন করে এদেশে থাকতে পারলেও এখন আর সে সুযোগ নেই।’
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের আগস্ট মাস থেকে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ পর্যন্ত সকল অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার সুযোগ করে দিয়েছিল আমিরাত সরকার। ২০১৯ সালের শুরু থেকে আমিরাতে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের কাজ না দেওয়ার জন্য সকল প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেওয়া হয়।উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার।
দেশটিতে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ বাংলাদেশি রয়েছে। ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশিদের জন্য শ্রম ভিসা বন্ধ করে দেওয়ায় শ্রমিক রপ্তানি বন্ধ রয়েছে দেশটিতে। কিন্তু অন্য ভিসা লাগিয়ে বহু বাংলাদেশি দেশটিতে আসলেও,ভিসা ট্রান্সফারের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেকেই।
সাধারণ ক্ষমার আওতায় এসব বাংলাদেশিদের অনেকে দেশে ফিরলেও কাজের আশায় যারা দেশটিতে থেকে গেছেন তাদের অনেকে এখন গ্রেপ্তার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
প্রজন্মনিউজ২৪/মামুন
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য আবারও খারাপ, পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকেরা
তালাকের হার গ্রামে বেশি, বড় কারণ পরকীয়া
হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি দূতের পরিচয়পত্র পেশ
নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত
তারাবিহ নামাজের মাহাত্ম্য ও বিধান
ভুল চিকিৎসায় পা হারালো শিক্ষার্থী
খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়লো
দাঁত ব্রাশ করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু