রোহিঙ্গা সমস্যায় বিনিয়োগকারীদেশগুলোকে কাজ করা উচিত

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ০৯:০১:৪৯ || পরিবর্তিত: ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ০৯:০১:৪৯

রোহিঙ্গা সমস্যায় বিনিয়োগকারীদেশগুলোকে কাজ করা উচিত

ডিপ্লোম্যাটিক করসপন্ডেন্ট: বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন(ইইউ)সহ মিয়ানমারের সাথে বাণিজ্যিক বিনিয়োগকারী দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা উচিত বলে মনে করেন অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারিন নেইসি। ইইউ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে মিয়ানমারের বাণিজ্যিক বিনিয়োগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে নিজ দেশের করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে কারিনি নেইসি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)সদস্যভুক্ত দেশ হিসেবে এ সমস্যা সমাধানে একাধিকবার আহ্বান জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। তাদের ভাষ্য হলো একক ভাবে নয় সামষ্টিগতভাবে চাপ তৈরী করতে হবে। তাহলেই কেবল মাত্র এ সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে।

গতকাল বুধবার দুপুরে  রাষ্ট্রীয় অথিতি ভবন মেঘনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড, আব্দুল মোমেনের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে এ কথা জানান তিনি।

মিয়ানমার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নেইসি বলেন, মিয়ানমারের উচিত সে দেশের আইনি ও সামাজিক কাঠামো তৈরী করার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেয়া।

বাংলা ভাষার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এ ভাষা। বাংলা ভাষার প্রতি সে দেশের মানুষের যথেষ্ট সম্মান বোধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলা ভাষাকে স্বীকৃত দান কারী প্রথম দেশ হলো অস্ট্রিয়া। অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাষা শহীদদের সম্মান জানাতে জাতীয় শহীদ মিনারে যাবেন তিনি।

প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন ও ভিশন উল্লেখ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মোমেন  বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে বাংলাদেশের সাথে বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে হবে।

অর্থনৈতিক বিষয়ে সম্পর্ক উন্নয়নে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কনস্ট্রকশন. মেডিসিন, দক্ষতা উন্নয়ন,শিক্ষা ক্ষেত্রে কাজ করতে আগ্রহী অষ্ট্রিয়া।বিশেষ করে শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়ন রিনায়েবল এনার্জি,জনশক্তি রপ্তানি এবং বিভিন্ন ধরণের শক্তিসরবরাহ কাজে ব্যয় হয় এমন বিষয়গুলোকে প্রদান্য দিয়ে কাজ করতে চায় উভয় দেশ। বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ, প্রযুক্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে কাজ করার প্রয়োজন আছে।অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ কাজ করেত আগ্রহী।

বাংলাদেশ ও ভিয়েনার সাথে সরাসরি আকাশ পথে যোগাযোগের আমন্ত্রন জানালে এ বিষয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের এ প্রস্তাবগুলোকে সে দেশের  সরকারের কাছে উপস্থাপন করার  আশ্বাস দেয়া হয়।

উভয় দেশের কাজের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে অষ্ট্রিয়ার বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদল বাংলাদেশে বিষয়ে কাজ শুরু করেছে। তারা  বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থান পর্যবেক্ষণ করছে। আশা করা যাচ্ছে অতি অল্প সময়ের মধ্যে একটা রেজাল্ট পাওয়া যাবে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রজন্মনিউজ/

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ