রাজধানীতে নিত্যপন্যের দাম অস্থিতিশীল

প্রকাশিত: ০২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ০২:২৩:৪৩ || পরিবর্তিত: ০২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ০২:২৩:৪৩

রাজধানীতে নিত্যপন্যের দাম অস্থিতিশীল

 হঠাৎ করে চড়া ভোজ্য তেলের বাজার। গত ২ সপ্তাহ ধরে খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ৩ টাকা বেড়ে ৮৪-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গত সপ্তাহের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ডাল, চিনি, মাছ ও সব ধরনের মুরগি।তবে কমেছে আলু, পেঁয়াজ ও আদার দাম। গরুর মাংস, চাল, সবজিসহ বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ ও নয়াবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।নয়াবাজারের তুহিন স্টোরের মালিক মো. তুহিন বলেন, গত ২ সপ্তাহ ধরে ভোজ্য তেলের দাম বেশি। পাইকারি বাজার থেকে প্রতি লিটার খোলা তেল ৮১-৮২ টাকায় কিনতে হচ্ছে। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে বিক্রি করছি।

এদিকে গত সপ্তাহের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ডাল, চিনি, মাছ ও মুরগি। ২ সপ্তাহ ধরে কেজিতে ডাল ও চিনির দাম ৪-৫ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার চিকন মসুরের ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৮২-৮৫ টাকা; যা ২ সপ্তাহ আগে ৮০ টাকা বিক্রি হয়। ওই সময়ে যে চিনি কেজি ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হয়; তা শুক্রবার ৫৩-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।সব ধরনের মুরগির দামও বাড়তি।

শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি ১৩৫-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। লাল কক মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৯৫-২০৫ টাকা কেজি দরে। আর পাকিস্তানি মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ২৬০-২৮০ টাকায়। তবে স্থিতিশীল ছিল গরু ও খাসির মাংসের দাম। এদিন বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৮০ টাকায় বিক্রি হয়।এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মাছ বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার রুই ৩১০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। যা ২ সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় ২৮০-৩৫০ টাকা। পাবদা বিক্রি হয় কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা। টেংরা বিক্রি হয় ৪০০-৫০০ টাকা; যা গত ২ সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৩৫০-৪০০ টাকা।তেলাপিয়া বিক্রি হয় প্রতি কেজি ১৪০-১৮০ টাকা; যা ২ সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় ১২০-১৬০ টাকায়। শুক্রবার পাঙ্গাশ বিক্রি হয় প্রতি কেজি ১৩০-১৬০ টাকা, শিং ৪০০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং চিতল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা।

কারওয়ান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. জামিল হোসেন বলেন, এ সপ্তাহে বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বেশি। মাছ, মুরগিসহ অন্যান্য পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। ছুটির দিনে সব ধরনের সবজির দাম ছিল স্থিতিশীল।মানভেদে বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০-৩০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ১০-২০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ১৫-২৫ টাকা, শালগম কেজি ২০ টাকা এবং মুলা কেজি ২০-২৫ টাকা বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া পাকা টমেটো কেজি ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে গত সপ্তাহে নতুন আলু ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও, শুক্রবার বিক্রি হয় ১৫-২০ টাকা।দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে ১৮-২২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ২০-২৫ টাকা কেজি।

আদা মানভেদে কেজি বিক্রি হয় ৯০-১৩০ টাকা দরে; যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ১০০-১৪০ টাকা।রসুন বিক্রি হয়েছে কেজি ৭০-৮০ টাকা। এছাড়া পালংশাকের আঁটি ১৫ টাকা, লাল ও সবুজ শাক ৫-১০ টাকায় বিক্রি হয়। লাউশাক আঁটি ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং সরিষা শাক আঁটি ৫-১০ টাকায় বিক্রি হয়।

প্রজন্মনিউজ২৪/ওসমান

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ