ষড় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারী, ২০১৯ ০৭:০৪:১৪ || পরিবর্তিত: ২৯ জানুয়ারী, ২০১৯ ০৭:০৪:১৪

ষড় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ

আব্দুল কাইয়ুম : হাজারও সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের বাংলাদেশ। যেখানে পাখির গানে ভোর হয়। সোনালী রোদের আলোতে আলোকিত হয় বাংলার বুক। দখিনা ঠান্ডা বাতাসে গা ভাসিয়ে চলে বাংলার মানুষ। সকালে মৃদু আলোতে পাখিদের কিচিরমিচির আর দোয়েল,শালিকের নাচ আমাদের মনকে ভরে তুলে। পাখিদের কলরবে মুখর আমাদের সোনার বাংলা। সকাল না হতেই শুরু হয় পাখিদের ব্যস্ততা আর ছুটে চলা।

ঐ দূর বাশঁ বনে সকালে সূর্যের রক্তিম আভায় মনে হচ্ছে বাশঁ বনের মাথায় যেন লাল আলো ছড়াচ্ছে। অপরুপ সৌন্দর্যের ঘেরা এই প্রাকৃতিক লীলাভূমিকে ভিন্ন রুপে সাজাতে আমাদের মাঝে আগমন করে ছয়টি ঋতু।এযেন নতুন রুপের আগমন। গ্রীষ্ম,বর্ষা,শরৎ,হেমন্ত,শীত ও বসন্ত তাদের নাম। একেক ঋতুর রুপ একেক রকমের যেন কেউ কারো সাথে কোন মিল নেই।

গ্রীষ্মের কাঠ ফাটা রৌদ্রে যখন বাংলার প্রাণ হয়ে পড়ে বিপন্ন এবং মাঠ-ঘাট ফেটে হয়ে যায় চৌচির। তখনই আগমন করে বর্ষা। দীর্ঘ দিন ধরে তৃষ্ণার্ত বাংলার প্রানকে সজীব করে দিতে তার আগমন। আর দূর হয়ে যায় মাঠের চৌচির ভাব। চারপাশ বর্ষার পানিতে ভরপুর হয়ে থাকে। আর বাংলার মাঝে আগমন করে নতুন রুপের। যেদিকে চোখ যায় শুধু পানির জলরাশি দেখা যায়। আর গ্রাম গুলো দাড়িয়ে থাকে দ্বীপের মতো। এযেন বিশাল সমুদ্রের বুকে সবুজে ঘেরা একটি ভূমি দাড়িয়ে আছে। হাজারো পাখিদের আগমন আর মাঝি ও জেলেদের মুখে ফুটে হাসি।

এ আনন্দকে আরো মুখরিত করতে বাংলার বুকে আগমন করে শরৎ কাল। পথের ধারে শত শত কাশফুলের দোল খাওয়া বাংলার প্রকৃতিকে আরো সুন্দর করে তলে। দিনের আকাশে হাজারো কালো মেঘের ভেলা আর রাতের আকাশে হজার তারার মেলা্। তখন বাংলা স্বর্গের রাজ্যের রুপ লাভ করে। নদীর ধারে কাশফুলেরা খেলা করছে তাদের আপন মনে।

তারপরই সোনালী রংয়ে রঙিণ হয়ে উঠে বাংলার মুখ। তার সাথে মনে করিয়ে দেয় হেমন্ত আগমনের কথা। পাকা ধানের মধুর গন্ধে কৃষকের মুখে ফুটে মিষ্টি হাসি। শিউলিফুল ফুটে বনে বনে আর তার ঘ্রাণ সবার মন কেড়ে নেয়। কৃষাণ-কৃষানিরা নতুন ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পরে। কিছুটা কুয়াশার আগমন হয় তখন ঘাসের ঢগায় শিশির বিন্দু জমে থাকে আর সকালের সোনালী রোদে ঝলমল করে।

কুয়াশার চাদর গায়ে দিয়ে বাংলার বুকে আসে শীতকাল।সকালের সোনালী রোদে জমে থাকা শিশির বিন্দু গুলো মক্তার ঝলমল করে। বাংলার আকাশে উড়ে হাজারও অথিতি পাখি আর গাছে গাছে জমে উঠে তাদের আসর। বাহারি রকমের পিঠা তৈরী হয় বাংলার ঘরে ঘরে। তীব্র শীতে আগুনের তাপ নিতে দল বেধে আসর জমে গ্রামের উঠানে উঠানে। গাছ থেকে কুয়াশার জমে থাকা পানির পরার টুপটাপ শব্দ ভাল লাগার মত। বাংলার রুপে আসে অনেক পরিবর্তন আর গাছের পাতা গুলো ঝরে যেতে থাকে।

বাংলার পথে প্রান্তরে ফুটছে শত ফুল। ফুলের সৌরভে মুখরিত হয় চারদিক। গাছে নতুন পাতা গজাতে শুরু হয়েছে। যেন নতুন করে প্রান ফিরে পাওয়ার মত। কোকিলের মিষ্টি কন্ঠে কুহু কুহু গান শুনা যায়। সেই সুরে গাছের ডালে নাচছে দোয়েল-শালিক। বাংলার বুক ভরে আছে সবুজে ঘেরা বাহারি রকমের গাছ-পালাতে। এই বাংলাতে খুজে পাই আমি নিজেকে আর খুজে পাই শান্তি। তাইতো কবি বলেছেন, সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি।

প্রজন্মনিউজ২৪

  

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ