উপশহরবাসী বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ত্রাস থেকে মুক্তি চান

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারী, ২০১৯ ০৪:০১:০৭ || পরিবর্তিত: ২৪ জানুয়ারী, ২০১৯ ০৪:০১:০৭

উপশহরবাসী বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ত্রাস থেকে মুক্তি চান

সিলেট প্রতিনিধি : বহিরাগত সন্ত্রাসীদের উৎপাত ও চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ট উপশহরের সাধারন জনগন। এক কথায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি ২২নং ওয়ার্ডবাসী (শাহজালাল উপশহর)। আতঙ্ক সৃষ্টি, হুমকী প্রদর্শন, মিথ্যা মামলা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ এনে আজ বুধবার (২৩ জানুয়ারী ২০১৯) দুপুরে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ সিলেট জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপশহরবাসী।

শাহজালাল উপশহর আবাসিক এলাকাবাসীর পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপশহরবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে উপশহরের বাসিন্দা কামাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সুনাম নষ্ট করার লক্ষে পার্শ্ববর্তি ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শিবগঞ্জ সোনারপাড়াস্থ নবারুণ এলাকার বাসিন্দা মো. ওয়ালিদ হোসেন তার সহযোগীদের নিয়ে অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

ওয়ালিদ নিজেকে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী দাবি করেন অথচ আওয়ামী পরিবারের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। বিভিন্ন সময় উপশহরে বিভিন্ন ধরণের টং, ভাসমান দোকান বসিয়ে সে নানা ধরণের অবৈধ ব্যবসা করার পায়তারা করছে। উপশহরে অবস্থিত সেটেলমেন্ট অফিসে গিয়ে চাঁদাবাজি করে, নানা ধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শনই তার মূল পেশা। তার যন্ত্রণায় উপশহর এলাকাবাসী অতীষ্ট।

সে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে ভূমি অফিসের কাজ করে দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে তাদেরকে কোনো ধরনের কাজ করে দেয়নি। উল্টো তাদের হয়রানী করছে। সোনারপাড়ার ওয়ালিদ হোসেন তার সহযোগী সেপুল ও ফখর উপশহরের ছিনতাই কর্মকান্ডের মদদদাতা। শুধুমাত্র ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ভেতরেই উপশহর এলাকা সীমাবদ্ধ। কিন্তু সোনারপাড়া, তেররতন অথবা মেন্দিবাগ এলাকায় কোন ঘটনা ঘটলেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে উপশহরের নাম। বাস্তবে তেররতন ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ও মেন্দিবাগ ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং সোনারপাড়া ২১নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত।

লিখিত বক্তব্যে কামাল উদ্দিন আরো উল্লেখ করেন, শাহজালাল উপশহরে দীর্ঘদিন ধরে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অপকর্ম করার পায়তারা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারদলের নেতা পরিচয়ে এলাকা ও প্রশাসনে প্রভাব বিস্তার করে অপকর্ম ও অঘটন চালিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল। ওয়ালিদ ও তার সহযোগিরা এলাকাজুড়ে জুয়া ও তীর খেলার বোর্ড, ইয়াবা ব্যবসাসহ অসামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনার পায়তারা চালাচ্ছে। কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ সেলিম ও এলাকাবাসী মিলে তাদের অপকর্ম প্রতিহত করার কারণে তারা এখন কাউন্সিলর সেলিমের বিরুদ্ধাচরণ করছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা অবৈধভাবে উপশহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফুটপাত দখল ও অবৈধস্থাপনা তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছে। এসবও প্রতিহত করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, কিছুদিন পূর্বে সন্ত্রাসী বাহিনী মিলে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে খুন করে। এই খুনের ঘটনায়ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডবাসী মানববন্ধনসহ নানা ধরণের প্রতিবাদ করে। সেই সন্ত্রাসীরা বহিরাগতদের নিয়ে পুনরায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংঘটনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন - উপশহরের বাসিন্দা মাওলানা নিজাম উদ্দিন, লবিবুর রহমান লবিব, জাহাঙ্গীর আলম লুলু, মছরুর আহমদ চৌধুরী, এনাম উদ্দিন, শফিকুল হক, এহতেশামুল হক চৌধুরী, রাশেদ আহমদ চৌধুরী, এডভোকেট জুবের আহমদ খান, বদরুল আমিন হারুন, আফজাল আহমদ, সোহরাব আলী, সহিবুর রহমান কলা মিয়া, সামছুন নুর মাস্টার সহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তিবর্গ।

প্রজন্মনিউজ২৪/হাফিজুল ইসলাম লস্কর

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ