লালমনিরহাটে ফখরুল

সরকার জনগনের ভোটে নির্বাচিত নয়

প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারী, ২০১৯ ১০:৩২:১৫

সরকার জনগনের ভোটে নির্বাচিত নয়

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। আর কোনোদিন তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতেও পারবে না।৩০ ডিসেম্বর ভোটে প্রশাসনের সহযোগিতায় তারা সরকার গঠন করলেও জনগণ তা মেনে নেয়নি।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন লালমনিরহাটে বিএনপি নেতা তোজাম্মেল হক নিহতের ঘটনায় সোমবার দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের পাগলারহাট এলাকায় প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়ন বিএনপির পরিবার কল্যাণ সম্পাদক তোজাম্মেলের কবর জিয়ারত করেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।এ সময় ফখরুলের সঙ্গে জেলা বিএনপির নেতারা ছাড়াও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন।জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ছাড়াও স্থানীয় বিএনপি নেতারা বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন,বিএনপি নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিনাদোষে কারাগারে আটক রেখে প্রহসনের নির্বাচন করেছে আ’লীগ।জনগণ আ’লীগের ভোট ডাকাতি দেখেছে।সে কারণে আ’লীগকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে সরিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে ভোটের দাবি করেন ফখরুল।সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার-হয়রানির প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির নামে করা প্রায় ৯৮ হাজার মামলায় আসামির সংখ্যা ২৬ লাখ।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, এ রকম নির্বাচন পৃথিবীর কোনো মানুষ কখনও দেখেছে বলে মনে হয় না।জনগণ এ নির্বাচন মেনে নেয়নি। তাই এই নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, লালমনিরহাটে তোজাম্মেলকে খুন করা হয়েছে।তোজাম্মেলের কী অপরাধ ছিল? তিনি ধানের শীষে ভোট দিতে এসেছিলেন বলেই আ’লীগের লোকরা তাকে হত্যা করেছে। তার রক্ত বৃথা যাবে না।একদিন এর বিচার হবে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আন্দোলন ছাড়া আর কোনো পথ নেই।ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে এ সরকারকে নামাতে হবে।আমরা কেউ এ সরকারের হাত থেকে রক্ষা পাব না।এর আগে তোজাম্মেল হকের বাড়িতে যান ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।তারা তার কবর জিয়ারত করেন।এ সময় তার পরিবারের হাতে ১ লাখ ৬ হাজার টাকার প্যাকেট তুলে দেন নেতারা।নিহত তোজ্জাম্মেলের স্ত্রী গোলাপজান ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের কাছে পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।এ সময় তিনি তার স্বামী হত্যার বিচার চান।

নিহতের ছেলে ও হত্যা মামলার বাদী মোস্তাফা বলেন, সন্ত্রাসীরা আমার বাবাকে খুন করেছে। আমি ন্যায় বিচার পেতে আদালতে মামলা করেছি।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সকাল ৮টার দিকে তোজাম্মেল হকসহ কয়েকজন ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন।পথে রাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন দলবল নিয়ে তাদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তোজাম্মেল হককে মারধর ও পেটে ছুরি মারেন।পরে তিনি রংপুর মেডিকেলকলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনায় ১ জানুয়ারি লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন নিহতের ছেলে মো. মোস্তাফা।আসামিরা হলেন ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন, মোজাম্মেল হোসেন মাস্টার, আঙুর মিয়া ও তার ভাই লেবু মিয়া, সিদ্দিক আলী, শাহীন, মহসিন আলী, জাহাঙ্গীর আলম ও মজি।পরে আদালতের নির্দেশে সদর থানায় ৯ জানুয়ারি মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

প্রজন্মনিউজ২৪/ওসমান

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ