প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারী, ২০১৯ ০৬:২৫:৫২ || পরিবর্তিত: ২০ জানুয়ারী, ২০১৯ ০৬:২৫:৫২
বগুড়া প্রতিনিধি :শীতকালীন সবজির ভরা মৌসুমে বাজারে ধস নেমেছে।প্রতিদিনই সবজির দাম কমতে থাকায় কৃষকের উৎপাদন খরচ ওঠা তো দূরের কথা, পড়েছে মাথায় হাত। পানির দরে বিক্রি হচ্ছে নানা ধরনের সবজি। শীতকালীন সবজি ফুলকপি এক টাকা ২৫ পয়সা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি মণ ৫০ টাকা, প্রতি পিস এক থেকে দেড় টাকা। আর বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে মাত্র দুই টাকায়।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উৎপাদন করা সবজির দাম কৃষক না পেলেও কয়েক হাত বদলের মাধ্যমে এই সবজি সাধারণ মানুষকে কিনতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি দামে। খুচরা বাজারে এই কপি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০টাকা।কৃষকরা জমিতে চাষ করা টাটকা সবজি বিক্রি করতে এসে অনেকটা বাধ্য হয়ে পানির দরে বিক্রি করে বাড়ি ফিরছেন।মহাস্থান হাটে সবজি বিক্রি করতে আসা বেশ কিছু কৃষক বলেন, ফুলকপি এক টাকা ২৫ পয়সা কেজি, বাঁধাকপি দুই টাকা পিস দরে বিক্রি করেছি।
এই দামে সবজি বিক্রি করায় চালান তো দূরের কথা ভ্যান ভাড়াও হচ্ছে না। অথচ অনেক টাকা খরচ করে সবজি চাষ করেছি, সে সবজি বাজারে এনে পানির দরে দিয়ে যাচ্ছি। আমরা ন্যায্য দাম না পেলেও খুচরা বাজারে দুই থেকে তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি।মহাস্থান হাটের পাইকারি সবজি ক্রেতারা জানান, গত কয়েকদিন হাটে ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম পড়ে গেছে। আজ ফুলকপি ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছে। বাঁধাকপির পিস দুই টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
বাঁধাকপি ও ফুলকপির পিস দু’একটা টাকা হওয়ার কারণ জানতে তিনি বলেন, আমদানি বেশি এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সব এলাকায় কপির ফলন ভালো হয়েছে। একসঙ্গে এসব কপি বাজারে আসায় দাম পড়ে গেছে। মহাস্থান গ্রামের কৃষক কামরুল বলেন কপির দাম পড়ে যাবার কারণ হিসেবে বাজারে প্রচুর নতুন আলু উঠেছে। মানুষ সবজি হিসেবে আলু কিনছেন। এ কারণে কপির দাম নেই। শিবগঞ্জের অনন্তবালা গ্রামের কৃষক মেহদী হাসান বলেন, বাঁধাকপির দাম কম দেখে গরুকে খাওয়ানোর জন্য দুই টাকা করে ৫০ পিস কপি কিনেছি।
মহাস্থান সবজি হাটের ফড়িয়া বাদশাহ ও রফিক জানান, তারা কৃষকের কাছ থেকে কম দামে সবজি কিনলেও অতিরিক্ত খাজনা, পরিবহন খাতে অধিক ব্যয় ছাড়াও তাদের লভ্যাংশ রাখার কারণে খুচরা বাজারে দুই থেকে তিনগুণ দামে সবজি বিক্রি করতে হয়। মহাস্থান হাট থেকে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ ট্রাক সবজি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয় বলেও জানান তারা।মহাস্থান হাটের সবজির আড়ৎ মালিকরা বলেন, এই অঞ্চলে ব্যাপক সবজি চাষ হয়ে থাকে। এখন ভরা মৌসুম।
এ কারণে প্রতিদিন দাম কমছে। কাঁচামাল হওয়ার কারণে অনেক সময় বাধ্য হয়েই পানির দরে সবজি বিক্রি করেন কৃষক।বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় পুরো শীত মৌসুমে ২ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হওয়ায় মৌসুমের শেষ পর্যন্ত ৩ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি সবজির ফলন হবে।
প্রজন্মনিউজ২৪/মিরাজুল ইসলাম মিরাজ
খালেদা জিয়া ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল : শেখ হাসিনা
গাজা: বিমান হামলায় বেঁচে যাওয়া বালকের প্রাণ গেল সাহায্য নিতে গিয়ে
মাদক ব্যবসার মূল হোতা সোর্স শহীদ ধরা ছোঁয়ার বাইরে
হাকালুকি হাওরে বজ্রপাতে মহিষের মৃত্যু
জৌলুশ হারাচ্ছে বাংলা নববর্ষের হালখাতা
সেই জাহাজে করে দেশে ফিরতে চায় না ২ নাবিক
এসএসসির ফলাফল ঘোষনার বিষয়ে যা জানালো শিক্ষামন্ত্রনালয়!
আমদানির অনুমতির পর চালের দাম বৃদ্ধি
২৩ মে পর্যন্ত জামিনে থাকবেন ড.ইউনূস
টেকনাফের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নুরুল আলম মোজাহিদের হাতে সাংবাদিকতার কার্ড