ডি’ক্যাপ্রিও’র অস্কারের পেছনের কথা

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারী, ২০১৯ ০৫:২১:২০

ডি’ক্যাপ্রিও’র অস্কারের পেছনের কথা

দিনটা ছিলো ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারী। হলিউডের ডলবি থিয়েটারে আসর বসেছে ৮৮তম অস্কারের।সেরা অভিনেতার নাম ঘোসনা করতে মঞ্চে আসলেন জুলিঅ্যান মুর।মনোনীতদের নাম ঘোষনা শেষ হলো কিন্তু চারদিকে তখনও থমথমে অবস্থা।

সবাই তখন পিনপতন নীরবতা পালন করছে আর একেঅপরের মুখের দিকে চেয়ে চেয়ে দেখছে কে হবে সেরা? ঠিক তখনই মাইক্রোফনে জুলিঅ্যান ঘোষনা করলেন সেরা অভিনেতার নাম আর সঙ্গে সঙ্গে অডিটোরিয়ামের ভিতরে ফেটে পড়লো উল্লাসে।

কিন্তু বিজয়ী মানুষটির মাঝে তেমন চাঞ্চল্য নেই।মায়ের পাশে বসে থাকা সেই মানুষটি মায়ের গালে আলতো চুমু দিয়ে উঠে পড়লেন মঞ্চে।সিনেমার কলাকুশলিদের ধন্যবাদ দিয়ে যে কথাগুলো বলেছিলেন তা শুনে তার প্রতি সবার শ্রদ্ধা বেড়ে গিয়েছিলো বহুগুনে।

সেই মানুষটি হচ্ছে লিওনার্দো ডি’ক্যাপ্রিও।টাইটানিকের সেই বিখ্যাত অভিনেতার জন্ম ১৯৭৪ সালের ১১নভেম্বরে।বাবা ছিলেন ইতালির আর মা ছিলেন জার্মানির আর তার বেড়ে ওঠা লস অ্যাঞ্জেলেসে।আর দশ জন অভিনেতার মতোই তারও শো-বিজে আগমন অল্প বয়সে।

১৯৭৯ সারে প্রচারিত ‘রুম্পার রুম’ টিভি শো দিয়ে তার পর্দায় আসার কথা থাকলেও অতিরিক্ত দুষ্টুমির কারনে বাদ পড়েন শুটিং সেটেই।এরপর থেকেই বিভিন্ন সিরিজে ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করেন।মূল চরিত্রে আসেন ১৯৯৩ সালে রবার্ট ডি নিরোর সাথে অভিনয় করেন ‘দি বয়’স লাইফ’ এ।

পরের বছরেই জনি ডেপের প্রতিবন্ধি ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করে মনোনয়ন পান অস্কারে কিন্তু বিজয়ী না হলেও নজর কাড়েন সবার।এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি।এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য টাইটানিক,দ্যা অ্যাভিয়েটর,দ্যা ডিপার্টেড,শাটার আইলান্ড,ইনসেপশন,দ্যা রেভন্যান্ট।অস্কারের মনোনয়ন পেয়েছেন মোট পাঁচটিতে।

শেষমেশ ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া দ্যা রেভন্যান্ট সিনেমা দিয়েই তার হাতে ওঠে সেরা অর্জনটি।

আর সেই পুরস্কারটি হাতে পেয়ে বলেছিলেন, “আসুন আমরা এই ধরণীকে আর অবহেলার চোখে না দেখি,ঠিক যেমন আজকের রাতকে আমি অবহেলার চোখে দেখছিনা”।

প্রজন্মনিউজ২৪/মোস্তাফিজুর রহমান

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ