ডিগ্রি নেই তবুও বড় ডাক্তার-নুরুল আমিন

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারী, ২০১৯ ০৬:১২:০৩

ডিগ্রি নেই তবুও বড় ডাক্তার-নুরুল আমিন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : তার দুই কার্ডের একটিতে নাম লেখা ডা: নুরুল আমিন, অন্যটিতে দালাল বাজার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী। রাখালিয়া একটি বেসরকারি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও সিসি ক্যামেরা আওতাভুক্ত মের্সাস জনসেবা ফার্মেসীতে রয়েছে চেম্বার। তবে তার দাবি তিনি রোগী দেখে কি মানবসেবা কি করা যাবে না? ফার্মাসিষ্ট ও ড্রাগ লাইসেন্স না করেও ভিজিটিং কার্ড ও প্রেসক্রিপশনে দিব্যি লিখে রেখেছেন ডাক্তার ও সকল রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়। ভূয়া ডা: নুরুল আমিন এভাবে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা চালিয়ে আসছেন দুই যুগ ধরে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে চলছে তোলপাড়।বয়স হয়েছে বলে এখন আর রোগী দেখতে গ্রামগঞ্জে হুটহাট চলে যেতে পারেন না ঠিকই, কিন্তু রাখালিয়া পোষ্ট অফিস রোডে তাঁর চেম্বারে রোজ বিকেলে তিনি এখনও টানা ছয় ঘন্টা বসেন, রোগী দেখেন। এবং তার চেম্বার থেকে ঔষধও বিক্রয় করে যাচ্ছেন তিনি।

অনুসন্ধানে পাওয়া যা ,ডা. নুরুল আমিন একটি ভিজিটিং কার্ডের রাখালিয়া পোষ্ট অফিস রোড অবস্থিত মেসার্স জন সেবা ফামের্সীর ঠিকানা দেওয়া। ঐ কার্ডে তার পরিচয় সকল রোগের চিকিৎসা ও শিশু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ সকল প্রকার চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।সময় দেওয়া আছে বেলা ২ টা থেকে রাত ৮ টা পযর্ন্ত্র। এ প্রতিবেদক তার চেম্বারে প্রবেশ কালে দেখা যায় রোগীদের সিরিয়াল। সেখানে দেখা যায়, যে কোনো জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের একের পর এক চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন ভূয়া ডাক্তার নুরুল আমিন।

ভূয়া ডিগ্রি ও সকল রোগের চিকিৎসা ও কার্ডে ডাক্তার লেখার বিষয়ের কারণ জানতে চাইলে এই চিকিৎসক প্রথমে পেশা গত ব্যস্ততা দেখিয়ে পাশ কাটানোর চেষ্টা করেন। পরে তিনি উল্টো দাবি করেন, এতোদিন কেবল রোগীর সেবা করে গেছেন। উচ্চতর কোনো ডিগ্রি সনদ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি সরকারি হেলথ এ্যাসিস্টান সরকারি বহু টেনিং করেছেন। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা:নিজাম উদ্দিন জানায়, নুরুল আমিন দালাল বাজার এরিয়ার একজন হেলথ সহকারি, ডিগ্রি না নিয়েও কার্ডে বা প্যাডে ডাক্তার লেখাকে “ সন্দেহাতীতভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ) বলে মন্তব্য করেন তিনি । তিনি বলেন,‘এই ডাক্তার লেখে রীতিমতো অন্যায় করেছেন, প্রতারণা করছেন রোগীদের সঙ্গে। তার বিরুদ্দে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা.মোস্তফা খালেদ আহম্মেদ বলেন, তিনি ভিজিটিং কার্ডে ও প্যাডে ডাক্তার লেখা তিনি রীতিমতো জালিয়াতি করছেন রোগীদের সঙ্গে। তিনি একজন সরকারি আমলা হয়ে এ কাজ করা তার উচিত হয়নি। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রজন্মনিউজ২৪/আলমগীর/আব্দুল কাইয়ুম

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ