চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছেন মাহবুব তালুকদার

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারী, ২০১৯ ১১:১৯:২৪

চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছেন মাহবুব তালুকদার

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আলোচনায় আসা নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছেন।

ইসির সহকারী সচিব মো. লুৎফুল কবীর সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছেন। সেখানে তিনি ১৪ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত অবস্থান করবেন।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘মাহবুব তালুকদারের সঙ্গে থাকবেন তার মেয়ে আইরিন মাহবুব। নির্বাচন কমিশন তার ব্যয়ভার বহন করবে।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইসির বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ (নোট অব ডিসেন্ট) করে আলোচনায় ছিলেন মাহবুব তালুকদার।

সম্প্রতি (৩ জানুয়ারি) মাহবুব তালুকদার আবার আলোচনায় আসেন। সফলভাবে ভোট অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত ইসির এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ‘এই প্রথম একটা অংশীদারি ও অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচন আমরা জাতিকে উপহার দিতে পেরেছি। আমি মনে করি, এই নির্বাচন বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে একটা ঐতিহ্য সৃষ্টি করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিশেষ করে লক্ষ করেছি, এই বিশাল কর্মযজ্ঞের যিনি কেন্দ্রবিন্দু, আমাদের নির্বাচন কমিশনের সচিব মহোদয় এবং তার সঙ্গে এখানে যারা ছিলেন, তারা কী নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই নির্বাচনকে সফল করেছেন। সে জন্য আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। যোদ্ধার মতোই তিনি এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সবাইকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’

এরপর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়লে গত ৮ জানুয়ারি গণমাধ্যমের কাছে এক লিখিত বক্তব্যে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন এই কমিশনার। এ দিন মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আমার অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। গত ৩ জানুয়ারিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ধন্যবাদজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে আমি যে বক্তব্য রাখি তাতে কিছু বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। অনেক সাংবাদিক আমাকে প্রশ্ন করেছেন, আমি আমার অবস্থান পরিবর্তন করেছি কি না? -এ সম্পর্কে বিভ্রান্তির অবসান ঘটাতে বিষয়টি স্পষ্ট করা প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিয়েছি। ইতিপূর্বে ১৭ ডিসেম্বর আমি বলেছিলাম, ‘সবদল অংশগ্রহণ করলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলা হয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়া একটি প্রাথমিক প্রাপ্তি। আসল কথা হচ্ছে, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হচ্ছে কি না এবং বিশ্বাসযোগ্য কি না? নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য না হলে অংশগ্রহণমূলক হলেও কোনো লাভ নেই।’

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ












A PHP Error was encountered

Severity: Core Warning

Message: PHP Startup: Unable to load dynamic library '/opt/cpanel/ea-php56/root/usr/lib64/php/modules/redis.so' - /opt/cpanel/ea-php56/root/usr/lib64/php/modules/redis.so: cannot open shared object file: No such file or directory

Filename: Unknown

Line Number: 0

Backtrace: