ঐতিহাসিক  কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন

প্রকাশিত: ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯ ০৪:৫১:৩৮

ঐতিহাসিক  কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রেলস্টেশন। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। কমলাপুর স্টেশন ঢাকার মতিঝিলে অবস্থিত। এটি ঢাকার সাথে বাংলাদেশের অন্য জায়গার মধ্যে যোগাযোগের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনাল। এছাড়া এটি অত্যাধুনিক ভবন যার নকশা করেছেন মার্কিন স্থপতি রবার্ট বাউগি। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬০ সালে এবং চালু হয় ১৯৬৯ সালে।

 কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দৈনিক ৫০টি ট্রেন বাংলাদেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়। দিন রাত সব সবসময় এখানে মানুষের যাতায়াত থাকে। যাত্রীদের সেবাদানের জন্য কমলাপুর স্টেশনে শতাধিক এবং বিভিন্ন বিভাগে বহুসংখ্যক কর্মচারি কর্মরত। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ভারত ভাগের আগে ফুলবাড়ীয় একটি মাত্র রেলওয়ে স্টেশন ছিল। বাংলা বিভক্তীকরণের পর ঢাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ শহরে রূপান্তরিত হয়। তাই ১৯৬০ এর দশকে ফুলবাড়িয়ায়, ঢাকার একমাত্র রেলস্টেশনের স¤প্রসারণের উদ্দেশ্যে কমলাপুর রেলস্টেশন স্থাপনা গড়ে তোলে ।

 স্থানীয়রা মুরব্বীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এর বর্তমান জায়গাটি ছিল বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত। লোকজনের বসবাস ছিল না। নিচু জমি ভরাট করে মানুষ গড়ে তুলতে থাকে বসতি। পূর্ব দিকের মানুষ মতিঝিল আসা-যাওয়া করে এ রেল লাইনের ওপর দিয়ে। রেল রাস্তা পারাপারের দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য রেল লাইনের ওপর গড়ে তোলা হয় ওভারব্রিজ। বাংলাদেশের এটাই সর্ববৃহৎ রেল ওভারব্রিজ।

রেলওয়ে স্টেশনটিতে ৮ টি প্লাটফর্ম রয়েছে। প্রত্যেকটির সম্মুখে কোন প্লাটফর্ম থেকে কোন অঞ্চলের কোন ট্রেন ছেড়ে যায় তার তথ্য দেওয়া রয়েছে। প্লাটফর্মে যাত্রী ব্যতিত অন্য কেউ প্রবেশের জন্য ২০ নম্বর কাউন্টার থেকে দু টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হয় । প্রথম শ্রেণীর যাত্রীদের প্রবেশের ও বাহির হওয়ার প্রবেশ পথটি পূবালী ব্যাংকের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত। রেলওয়ে পোস্টাল ব্যবস্থা রয়েছে।

২য় শ্রেণীর যাত্রীদের বিশ্রামাগারের বাম পাশে এর অবস্থান। এখানে সেবা পেতে অতিরিক্ত চার্জ দিতে হয়। নিরাপত্তার জন্য রয়েছে রেলওয়ে পুলিশ ও আর্মডগার্ড  প্লাটফর্মগুলোতে সি সি টিভি ক্যামেরা ব্যবস্থা রয়েছে।  ট্রেনে দু’ভাবে মালমাল পরিবহনের ব্যবস্থা রয়েছে। যাত্রী নিজের সাথে নিয়ে যেতে পারেন অথবা মেইল ট্রেনে পাঠাতে পারেন। ব্যবসায়িক মালমাল হলে প্রতি কেজিতে ১ টাকা করে চার্জ দিতে হয়।

১নং প্লাটফর্মের পাশেই রয়েছে মেইল ট্রেনে মালামাল পরিবহনের বুকিং কাউন্টার। পণ্য অনুসারে মালামাল পরিবহনের মূল্য নির্ধারিত হয়। ট্রেন আসলে মাইকে ঘোষনা দেওয়া হয়। প্লাট ফরমে নিরাপদ পানি পানের ব্যবস্থা রয়েছে। পানি পানের জন্য একটি স্টিলের মগ আঁটকানো রয়েছে।

প্রজন্মনিউজ২৪/আব্দুল কাইয়ুম

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ