প্রকাশিত: ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯ ১২:১১:৩৭
রাজা রামনাথ ও প্রাণনাথের স্মৃতিবিজড়িত দিনাজপুরের ঐতিহাসিক একটি স্থান রামসাগর।যা মহাকালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।যার সাথে জড়িয়ে আছে দিনাজপুরের অসংখ্য বীরপুরুষের অজস্র স্মৃতি, সাধারন মানুষের অনেক প্রেম, অনেক ভালোবাসা।
দিনাজপুর শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে তাজপুর গ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এই দিঘিটি।প্রাচীনকালে বৃষ্টির অভাবে এ অঞ্চলে প্রচুর দুর্ভিক্ষ দেখা দেয।এ অবস্থায় খাদ্য ও পানির অভাবে গভীর সংকটে পড়তে হয় এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে।সাধারন মমানুষের এ দুঃখ কষ্ট ঘোচানোর জন্য রাজা রামনাথ ও তার পুত্র প্রাণনাথ ১৭৫০-১৭৫৫ সালে এটি খনন কাজ সম্পন্ন করে।
এতে প্রায় ১৫ লক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হয।ব্যায় হয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা।তটভূমিসহ রাম সাগরের আয়তন ৪,৩৭,৪৯২ বর্গমিটার, দৈর্ঘ্য ১,০৩১ মিটার, প্রস্থ ৩৬৪ মিটার এবং গভীরতা ১০ মিটার।পার্ক ভূমির আয়তন ৫৮.৫৪ একর এবং জলভাগের আয়তন ৭৭.৯০ একর।দিঘিটির পাড়গুলো ১০.৭৫ মিটার উচু।এটি বন ববিভাগের তত্ত্বাবধানে আসে ১৯৬০ সালে।২০০১ সালে এটিকে বাংলাদেশ সরকার জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা দেয়।
বর্তমানে দিঘিটিকে আরও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এটিতে আছে একটি শিশু পার্ক, কয়েকটি রেস্টুরেন্ট, একটি রেস্ট হাউস, একটি বড় মসজিদ, রয়েছে কিছু হরিণ, কয়েকটি অজগর, একটি গাধা, কয়েকটি শকুন, বিভিন্ন ধরনের মুরগি সহ আরো অনেক কিছু।বর্তমানে এখানে একটি পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে।
প্রতিদিন এখানে অসংখ্য লোক ভ্রমনে আসে পরিবার পরিজনের সাথে ঘোরাফেরা করার জন্য। স্থানীয়দের দাবি সরকার যদি রামসাগর দিঘি কে নিয়ে সুষ্ঠ পরিকল্পনা করে তাহলে এটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে।
প্রজন্মনিউজ২৪/ওসমান/আব্দুর রাজ্জাক
সিলেট নগরীর আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে, উদ্বোধনকালে সিসিক মেয়র
বেরোবিতে ইয়ুথ জার্নালিস্ট ফোরামের কর্মশালা ও ইফতার
বগুড়ায় রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়নের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
মেহেদির রং শুকানোর আগে প্রাণ গেল তরুণের
ঘরের কাজে ব্যস্ত মা, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
বশেমুরবিপ্রবি প্রকল্প পরিচালক সাময়িক বরখাস্ত
গুচ্ছ গ্রামের এক পুকুরে ধরা পড়ল ১০০ ইলিশ
সিলেটে পুলিশের অভিযানে ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক ২
ঢাবির ২৩-২৪ সেশনে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সের কর্ণধার নূর মোহাম্মদ আবু তাহের গ্রেপ্তার