নিষেধাজ্ঞা শেষে আশরাফুল আবারো বিপিএলে

প্রকাশিত: ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯ ১১:৩১:৪৫

নিষেধাজ্ঞা শেষে আশরাফুল আবারো বিপিএলে

সংসদ সদস্য পরিচয়ে যেদিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম পা রাখলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা,একই দিনে বিপিএল আঙিনায়ও প্রত্যাবর্তন মোহাম্মদ আশরাফুলের।চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে কাল মিরপুরের একাডেমি মাঠে অনুশীলনে ঘাম ঝরানো এই ক্রিকেটারের জন্যই কলঙ্কের দাগ লেগেছিল বিপিএলের গায়ে।কলঙ্কিত করার দায় স্বীকার করে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন।

সেটি শেষ করে পাঁচ বছর নয় মাস পর আবার সেই বিপিএলের মূলস্রোতে ভাসার সুযোগ এলো তাঁর সামনে।সেই সুযোগ লুফে নিতে মরিয়া আশরাফুল মাঠে কার কাছে কিভাবে গৃহীত হন, তা নিয়েও কৌতূহল কম ছিল না।বিশেষ করে জাতীয় দলে তাঁর পুরনো সতীর্থদের কাছে।মাঠে এসে যাঁদের সঙ্গে দেখা হওয়াটা অবধারিতই ছিল।একেকজন একেক দলের হলেও বিপিএলের দলগুলোর অনুশীলন যেহেতু মিরপুরের একাডেমি মাঠেই হয়, তাই সেটিই খুব স্বাভাবিক।

মুশফিকুর রহিম তো তাঁর দলেরই অধিনায়ক।ঢাকা ডায়নামাইটসের সাকিব আল হাসান এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের তামিম ইকবালদের সঙ্গেও দেখা হয়ে গেল কাল।প্রথমজনের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের মুহূর্তটি ধরতে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন আলোকচিত্রীরা।সাকিবকে এগিয়ে আসতে দেখে ‘হাজী সাব’বলে গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন আশরাফুল।অবশ্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরা আর আলোকচিত্রীদের তৎপরতা শুরু হয়ে যেতেই আরেক তারকা ক্রিকেটারকে সচেতনভাবে আশরাফুলের কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টাও কারো নজর এড়াল না।

তাই বিপিএলের মাঠে আশরাফুলের প্রথম দিনটিকে মিশ্রই বলা যায়।যাঁর বিপিএল খেলার নিষেধাজ্ঞা গত আগস্টে উঠে গেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন আরো আগে থেকেই।খেলেছেন ক্লাব ক্রিকেটেও। সবশেষ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে করেছেন পাঁচ-পাঁচটি সেঞ্চুরিও।লিস্ট এ ক্রিকেটে এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে যা সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সেঞ্চুরির রেকর্ডও।খেলেছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও।

কিন্তু ওইসব আসরের সঙ্গে বিপিএলের মৌলিক একটি পার্থক্যও আছে।সেগুলো বিপিএলের মতো টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হয় না।বিপিএলের মাধ্যমে সম্প্রচারের আওতায় আসতে পারার সন্তুষ্টিই যেন কাল খেলে গেল বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়কের কথায়, ‘আসলে খুবই ভালো লাগছে।গত দুই বছরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলেছি।কিন্তু এই খেলাগুলো তো সম্প্রচার হয় না।

বিপিএল একটি আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্ট। এখানে খেলতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।আমাকে নেওয়ার জন্য চিটাগং ভাইকিংসের মালিককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।আর যেহেতু আমি খেলাটি জানি এবং আমার অভিজ্ঞতা আছে, সুতরাং সুযোগ পেলে ভালো খেলার চেষ্টাই থাকবে।এই মঞ্চে ভালো করার বাড়তি ‘এক্সপোজার’ও কম টানছে না তাঁকে, ‘বাংলাদেশ দলের যে জার্সিটা আমি আবারও পরতে চাই, সেটির জন্য সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম এটি।

আমি আগে থেকেই এটি জানি এবং সবাই জানে।আমি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছি, কিন্তু কেউ খেলা দেখেনি।শুধু স্কোরগুলো দেখেছে। সে কারণেই এমন একটি প্ল্যাটফর্ম আমার দরকার ছিল, যেটি আমি দীর্ঘদিন পর পেলাম।পারফরম্যান্স দিয়ে কলঙ্কের দাগমোচন এবং ভক্তদের প্রতিদান দেওয়ার ইচ্ছাও ব্যক্ত করলেন, ‘আমি যে অন্যায় করেছিলাম, তার শাস্তি আমি পেয়েছি।

এবং সে জন্যই কিন্তু আমি পাঁচ বছর নয় মাস বাইরে ছিলাম এই ফরম্যাট থেকে।আমি অন্যায় স্বীকার করেছি এবং প্রায়শ্চিত্তও করেছি।আমার যাঁরা ভক্ত আছেন, তাঁরা সবাই অপেক্ষায় আছেন এটি দেখার জন্য যে আমি আবার ফিরে আসতে পারি কি না।তাঁদের জন্য হলেও চেষ্টা করব এই বিপিএলে ভালোখেলতে। ভালো খেলে যদি ফিরে আসতে পারি, তাহলেও একটি উদাহরণ তৈরি হবে যে দীর্ঘ সময় বাইরে থেকেও আবার পারফরম্যান্স দিয়ে ফিরে আসা সম্ভব।

প্রজন্মনিউজ২৪/ওসমান

 

 

 

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ