প্রকাশিত: ০২ জানুয়ারী, ২০১৯ ০৩:১৯:২৬
ঘুমানোর অভ্যাস আমাদের একেক জনের একেক রকম।ঘেউ ঘুমাতে চায় সন্ধ্যা রাতে কেউ বা মাঝরাতে আবার কেউ শেষ রাতে।কিন্তু ঘুমানোর এই অভ্যাসের ওপর শরীরের অনেক কিছুর পরিবর্তন নির্ভর করে।
বিশেষ করে দেরি করে ঘুমাতে গেলে আমাদের শরীরের ভেতরে বিশেষ কিছু পরিবর্তন হয়, পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার ধরনেও পরিবর্তন আসতে শুরু করে।ফলে হার্টের ক্ষতি হয়। শুধু তাই নয়, দেরি করে ঘুমাতে যাওয়া এবং সকাল ৭ থেকে ৮টার মধ্যে উঠে যাওয়ার কারণে ঘুমের কোটা সম্পন্ন হয় না।ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেরে যাওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
সম্প্রতি হওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে রাত ১১টার পর ঘুমাতে গেলে হার্টের রোগ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পায়, তেমনি আরও কিছু রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। জেনে নেওয়া যাক দেরিতে ঘুমানোর ফলে শরীরের সেই সম্ভানাময় রোগগুলো সম্পর্কে।
ব্লাড প্রেসার বাড়তে শুরু করে
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে দেরি করে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করলে শরীর এবং মস্তিষ্কের ওপর মারাত্মক চাপ পড়ে। যে কারণে ব্লাড প্রেসার বাড়তে সময় লাগে না।এ ছাড়া কিডনির যেমন মারাত্মক ক্ষতি হয়, তেমনি স্ট্রোক এবং দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও বেড়ে যায়।
স্ট্রেস বাড়বে কমবে আয়ু
অনেককেই ব্যস্ততার কারণে দেরি করে ঘুমাতে হয়। কিন্তু অফিসে যাওয়ার কারণে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠে যেতে হয়। ফলে ঠিক মতো ঘুম না হওয়ার কারণে দেহের ভেতরে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যেতে শুরু করে। আর এমনটা হওয়ার কারণে মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার ভয় তো থাকেই। সেই সঙ্গে আরও হাজারখানেক রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
চটজলদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়
ঠিক মতো ঘুম না হলে ব্রেন ঠিক মতো রেস্ট নেওয়ার সুয়োগ পায় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু অংশের ক্ষমতা কমতে শুরু করে। আর ঠিক এই কারণেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা যায় কমে।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়বে
গবেষণায় দেখা গেছে রাত জেগে কাজ করলে কর্টিজল হরমোনের মতো স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ মারাত্মক বেড়ে যায়। ফলে সারা রাত কাজ করার ক্ষমতা জন্মালেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষণতা একেবারে কমে যায়। ফলে নানাবিধ রোগ ঘাড়ে চেপে বসতে সময়ই লাগে না। স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পেলে মানসিক চাপও বাড়তে শুরু করে, যা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক।
ওজন বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো
দিনের পর দিন রাতে জেগে থাকলে খাবার ঠিক মতো হজম হতে পারে না।ফলে একদিকে যেমন গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়, তেমনি ওজনও বাড়তে শুরু করে।আর ওজন বাড়লে ধীরে ধীরে সুগার, প্রেসার এবং কোলেস্টেরলের মতো মারণ রোগ এসে শরীরে বাসা বাঁধে।
চোট-আঘাট লাগার প্রবণতা যায় বেড়ে
সারাদিন যতই ঘুমান না কেন, রাতে ঘুম আসতে বাধ্য। এমন পরিস্থিতিতে মনোযোগ যেমন হ্রাস পায়, তেমনি শরীরের সচলতাও কমতে শুরু করে। ফলে অফিসে চোট-আঘাত লাগার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
বাবা-মা হতে সমস্যা দেখা দিতে পারে
শরীরের নিজস্ব ছন্দ বিগড়ে গেলে দেহের ভেতরে এমন কিছু নেতিবাচক পরিবর্তন হতে থাকে যে তার সরাসরি প্রভাব পরে মা হওয়ার ক্ষেত্রে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে সব মেয়েরা নিয়মিত নাইট শিফট করেন তাদের মিসক্যারেজ এবং প্রিটার্ম ডেলিভারি হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে কম ওজনের বাচ্চা জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই মা হওয়ার পরিকল্পনা করলে ভুলেও রাত জেগে কাজ করবেন না।
মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে
রাতের বেলা মস্তিষ্কের আরাম নেওয়ার সময়। তাই এই সময় কাজ করলে ধীরে ধীরে ব্রেনের ক্ষমতা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ডিপ্রেশন, হাইপোলার ডিজঅর্ডার, স্লো কগনিটিভ ফাংশন, স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়াসহ আরও সব সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।
প্রজন্মনিউজ২৪/ওসমান
খুলনার তেরখাদায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পাইপগান ও ককটেলসহ গ্রেপ্তার ৫
দীর্ঘ একযুগ পর রাবি থেকে পিএসসির সদস্য হলেন অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে
রাজশাহীতে সর্বনিম্ন ফিতরা ৯৫ টাকা
ভোলায় অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত শিক্ষার্থীরা,যে-ই স্পর্শ করে সে-ই অসুস্থ্য হয়ে পড়ে
পবিপ্রবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের নবনিযুক্ত ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার
চবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের
সালাম মুর্শেদির গুলশানের বাড়ি সরকারের নিকট হস্তান্তরের নির্দেশ
প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলানোর হুশিয়ারি জবি শিক্ষার্থীদের