নতুন বছরে সফল হওয়ার কৌশল

প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারী, ২০১৯ ০৫:৩৯:২৬ || পরিবর্তিত: ০১ জানুয়ারী, ২০১৯ ০৫:৩৯:২৬

নতুন বছরে সফল হওয়ার কৌশল

পুরনো ভুলত্রুটি শুধরে নতুন বছরে জীবনের পথ আরও সুগম করে তুলতেই নতুন বছরকে বরণ করে নেয় মানুষ। নতুন বছরে যদি সফল হতে চান তবে প্রতিদিনের রোজনামচায় কোনও কোনও স্বভাব বদলে ফেললেই এ বছরটা আরও সুন্দর ও সফল হয়ে উঠতে পারে।

সপ্তাহে একটা দিন নিরামিষ

নতুন বছরের শুরুতে খাওয়ার রুটিন বদলে ফেলুন। সপ্তাহে একটা দিন নিরামিষ খেতে শুরু করুন। এমনিতেই সারা সপ্তাহ প্রচুর মাছ-মাংস খাওয়া হয়। এতে শরীর অনেকটাই ভালো থাকবে। হজমক্ষমতাও বাড়বে।

বই পড়া

যানবাহনে যাওয়ার সময় সারাক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় দেন তারা নতুন বছরে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।এতে সারাক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আসক্তিও কমবে আবার প্রিয় শখ বজায়ও থাকবে।

দুপুরে খাওয়ার পর

দুপুরে খাওয়ার পর কয়েক কদম হেঁটে আসুন। মিনিট ১৫ হাঁটলে শরীরের বিপাক হার বাড়িয়ে খাবার হজম করা সহজ হবে ও ওবেসিটির ভয়ও অনেকটা কাটবে।

অপ্রয়োজনীয় মেইল

বছরের শুরুতেই অপ্রয়োজনীয় মেইল ফেলে দিন। ইমেইলের ইনবক্সে একগাদা অদরকারী মেইল জমিয়ে রাখার অভ্যাস তাড়ান। এতে দরকারি মেইল খুঁজে পেতে যেমন সুবিধা হবে।

বাড়ির খাবারে আস্থা

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাড়ির খাবারে আস্থা রাখেন যারা, তাদের শরীরে অন্যদের তুলনায় প্রতি সপ্তাহে ১৭৩ ক্যালোরি ও প্রতিদিন প্রায় ১৬ গ্রাম করে কম চিনি প্রবেশ করে। সুতরাং মাঝে মাঝে বাইরে খান ক্ষতি নেই, কিন্তু কথায় কথায় রেস্তোরাঁ আর নয়।

অনিদ্রা

অনিদ্রা বা কম ঘুমকে এ বছর প্রথম থেকেই তাড়ান। তাই বদলে ফেলুন নিজের কিছু অভ্যাস, সারাক্ষণ খুব নিয়ম মেনে চলতে না পারলেও অন্তত ঘুমোনোর আগে মোবাইলটি সরিয়ে রাখুন।

ত্বকের যত্ন

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অন্তত পাঁচ মিনিট সময় নিজের ত্বককে দিন। খুব বেশি কিছু না পারলেও যতটুকু পরিচর্যা সুস্থ ত্বকের জন্য দরকার, সেটুকু দিন। এতে ত্বকের জেল্লা যেমন বাড়বে, তেমনই একেবারেই শরীরের কোনও যত্ন নিতে না পারার আক্ষেপও ঘুচবে।

বছরে দুবার বেড়াতে যাওয়া

বছরে দুবার বেড়াতে যাওয়ার সময় রাখুন হাতে। পকেটে খুব চাপ দিতে না চাইলে ধারেকাছেই ঘুরে আসুনপ্রিয়জনদের সঙ্গে।

টাকা জমান

বছরের প্রথম দিন থেকেই কিছু কিছু করে টাকা জমান। সারা দিনের খরচের পর বাজেটের বেঁচে যাওয়া টাকা জমিয়ে রাখুন। এতে মাসের শেষে বেশকিছুটা টাকা হাতে থেকেই যায়। তার ওপর জমানোর অভ্যাসটাও আলাদা করে তৈরি হয়।

যোগাযোগ

সারা বছর কাজের চাপে প্রায় কারও সঙ্গেই যোগাযোগ রাখতে পারেন না? পরিবার ও ঘনিষ্ঠ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখুন।

প্রজন্মনিউজ২৪/ওসমান

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ