জামানত হারালেন চরমোনাই পীর

প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারী, ২০১৯ ০৫:১৫:১৮

জামানত হারালেন চরমোনাই পীর

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম জামানত হারিয়েছেন।

হাতপাখা প্রতীকে ২৭ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে জামানত হারান তিনি। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম ২ লাখ ১৫ হাজার ৮০ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩৬২ ভোট, লাঙল প্রতীকে জাতীয় পার্টির (জাপা) অ্যাডভোকেট একেএম মুর্তজা আবেদীন ৭১২ ভোট, কাঁঠাল প্রতীকে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (মতিন) এইচএম মাসুম বিল্লাহ ৮৯ ভোট, কোদাল প্রতীকে বাংলাদেশের বিল্পবী ওয়ার্কার্স পার্টির অধ্যাপক আবদুস সাত্তার ৭২৭ ভোট এবং আম প্রতীকে এনপিপির শামীমা নাসরিন পেয়েছেন ৪১২ ভোট।

এ আসনে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ৭৮ হাজার ৩২৩টি। বাতিল ভোটের সংখ্যা ২ হাজার ৮৭৯টি। বৈধ ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৪টি। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম ছাড়া বাকি সব প্রার্থী জামানত হারান। ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণকৃত আসনের মোট ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগেরও কম ভোট পাওয়ায় এসব প্রার্থী জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

এ নিয়ে বরিশাল জেলার ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৬টিতে বড় ব্যবধানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা সবকটি আসনে হেরেছেন। শুধু তাই নয়, ৬টি আসনের একটি আসন বাদে মহাজোট প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সবাই জামানত হারিয়েছেন।

আইন অনুযায়ী জামানতের টাকা ফেরত পেতে হলে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পেতে হয়। তবে ৬টি আসনের একটি আসন বাদে মহাজোট প্রার্থীদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীই তা পাননি। সুতরাং ৬টি আসনের ৩৯ প্রার্থীর মধ্যে ৩১ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

রোববার রাতে বরিশালের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফল থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ২ লাখ ৫ হাজার ৫০২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থী জামানত হারান।

বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের মো. শাহে আলম ২ লাখ ১২ হাজার ৩৪৪ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে মহাজোটের অন্যতম শরিক দল জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপু লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ৫৪ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন পেয়েছেন ৪৭ হাজার ২৮৭ ভোট, নৌকা প্রতীকে ওয়ার্কার্স পার্টির বর্তমান এমপি টিপু সুলতান ১৯ হাজার ২১৯ ভোট। এ তিনজন ছাড়া বাকি সবাই জামানত হারিয়েছেন।

বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পংকজ দেবনাথ ২ লাখ ৪১ হাজার ৩ ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সবাই জামানত হারিয়েছেন।

বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) নাসরিন জাহান রত্না লাঙল প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৯৮ ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়েছেন। তার সব প্রতিদ্বন্দ্বী জামানত হারান।

বরিশালের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানান, আইন অনুযায়ী জামানতের টাকা ফেরত পেতে হলে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ পেতে হয়। তবে ৬টি আসনের ৩৯ প্রার্থীর মধ্যে ৩১ প্রার্থী তা পাননি। সুতরাং ৬টি আসনের ৩৯ প্রার্থীর মধ্যে ৩১ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।ল ও শতবাগ জয়লাভ করতে পারতো।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ