প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৬:২৫:৪৩
আমি বরাবর বিতর্ককে এড়িয়ে চলি। যেটা আমাকে চরম তৃপ্তি দেয়। এই স্বভাবের জন্য যে কেউ আমার সঙ্গে থাকতে পারে। কারণ জানে অপছন্দ হলে কাউকেই আমি কিছু বলবো না। রবিবার মুম্বইতে জিরোর প্রমোশনাল ইভেন্টে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কৌশলী অবস্থান নেন ক্যাটরিনা কাইফ। এমনকি, রণবীরের সঙ্গে সম্পর্ক এবং বিচ্ছেদ, এ বিষয়ে তাঁকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেও, তাঁর সাফ জবাব; আমার মুখ থেকে এ বিষয়ে কিছু শুনতে আপনারা দু’বছর অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু বিশ্বাস করুন আমি মুখ খুলব না। এমনকি, সম্পর্ক এবং বিচ্ছেদ এই দুই ব্যাপারে ক্যাটরিনা যথেষ্ট রক্ষণশীল; তা তিনি রবিবারের ইভেন্টে ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
গত ১০ বছরে মোট দু’বার তাঁর প্রণয় বিচ্ছেদ ঘটেছে। প্রথমবার সলমন খানের সঙ্গে ও ২০১৬-তে রণবীর কাপুরের সঙ্গে। সে ব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে কোনও প্রাক্তন প্রেমিকের নাম না করে তিনি বলেছেন; ‘প্রতিবারই তিনি চুপ ছিলেন। কখনও মুখ খোলেননি এবং ভবিষ্যতেও খুলবেন না।‘ তাঁর মন্তব্য; এর ফলে তোমার ঘাড় থেকে দায়টা নেমে যায়। যে বা যাঁরা তোমাকে নিয়ে মুখ খোলে; তাঁদের দায় থাকে, বলেন ক্যাটরিনা। তিনি এ-ও জানান দু’বার তিনি দেখেছেন; ইভেন্টে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকরা; তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের নিয়ে অনেক খোলামেলা আলোচনা করেছেন। কিন্তু তিনি চুপ ছিলেন। এই ‘দু’বার’ অবশ্যই টাইগার জিন্দা হ্যায় এবং জগ্গা জাসুসের প্রমোশনাল ইভেন্ট; তা বলাই বাহুল্য।
তাঁর সংযোজন, ‘তবে যদি আমি কোনও সময় দেখি; কারও কাজ বা ব্যবহার আমাকে উত্তেজিত করছে, বিরক্ত করছে কিংবা আমাকে আঘাত করছে। তখন আমি সেই ব্যক্তিকে বলি: তোমার ব্যবহারে আমি আহত। জানি না তোমাকে কোনওদিন ক্ষমা করবো কি না।‘ কিন্তু যখনই বিষয়টা সম্পর্ক, প্রণয় কিংবা একান্ত ব্যক্তিগত হয়ে যায়, তখন বরাবরই নীরবতাকে প্রাধান্য দিই; দাবি করেন ক্যাটরিনা।
সে রণবীর হোক বা সলমন খান। বরাবরই সম্পর্কের ব্যাপারে স্পিকটি নট ছিলেন ক্যাটরিনা। বিচ্ছেদের পরও স্পিকটি নট। সে ব্যাপারে তাঁর মত, যা হয়েছে, সেটাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে তিনি পছন্দ করেন। তাঁর মনে হয় এটা জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট লাভজনক একটা সিদ্ধান্ত। তাঁর কথায়,‘‘অনেক সময় লাভজনক না হলেও যা হচ্ছে, হতে দিই। এর ফলে মানুষের সঙ্গে বিতর্ক এড়ানো যায়। আমার সঙ্গে পাশের মানুষের সম্পর্ক যাই হোক না কেন, তাঁকে নিয়ে চলার চেষ্টা করি। সেও সঙ্গটা এনজয় করে। কারণ সে জানে আমি তাঁকে পাল্টা কিছু বলবো না। কারণ পাল্টা দেওয়া আদতে উত্তেজনার বহিঃপ্রকাশ, দুর্বলতা প্রকাশ। এতে তোমার সঙ্গে পাশের জনের সম্পর্ক খারাপ হয়।’’ তাই গ্রহণ হোক বা বর্জন, জীবনে যাই আসুক সেটাকে মেনে এগিয়ে চলো। তুমি যা মনে করছ, বা তোমার মন যেটা বলছে সেটা শুনেই চলো, পরামর্শ ক্যাটরিনার।
সম্প্রতি ক্যাটরিনার রণবীর ও দীপিকার রিসেপশনে যাওয়া নিয়ে একপ্রস্থ বিতর্ক তৈরি হয়েছিল; সে ব্যাপারেও স্পিকটি নট তিনি।
প্রজন্ম নিউজ/শাহারিয়ার রহমান
আইপিএল জুয়াড়ি সন্দেহে চারজন গ্রেফতার
খালেদা জিয়া ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল : শেখ হাসিনা
তুরস্কে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন
মাদক ব্যবসার মূল হোতা সোর্স শহীদ ধরা ছোঁয়ার বাইরে
জৌলুশ হারাচ্ছে বাংলা নববর্ষের হালখাতা
গরমে অতিষ্ঠ খুলনাবাসী; প্রয়োজন ছাড়া বের হন না কেউ
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ
আমদানির অনুমতির পর চালের দাম বৃদ্ধি
হিটলারের চেয়েও ভয়ংকর নেতানিয়াহু: কাদের
উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ চান না প্রধানমন্ত্রী