তিন ফরম্যাটেই অভিষেক হল সিলেট স্টেডিয়ামের

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৪:৪৬:২২

তিন ফরম্যাটেই অভিষেক হল সিলেট স্টেডিয়ামের

সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটের ক্রীড়াপ্রেমী দর্শকদের বহু প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ শুক্রবার(১৪ ডিসেম্বর) ১১-৫০ মিনিটে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের মধ্যে দিয়ে অভিষেক হয়েছে ওয়ানডে ফরম্যাটের। মাশরাফী ও রুভমান পাওয়েলের টসের মাধ্যে দিয়ে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই অভিষেক পূর্ণ হয়েছে সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। টি-টুয়েন্টি ও টেস্টের অভিষেক হয়েছে আগেই।

বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় শুরু হয়েছে সিরিজ নির্ধারনী এই ম্যাচটি। সিরিজের প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ ও দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টুয়েন্টিতে সিলেটের অভিষেক হয়েছিল সেই ২০১৪ সালে। তবে বাংলাদেশ এই মাঠে প্রথম খেলা চলতি বছরই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টির মধ্য দিয়ে। আর নভেম্বরে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের টেস্ট দিয়ে অভিষেক হয় ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণের।

এবার ওয়ানডে ফ্যরম্যাটের আক্ষেপও পুর্ন হল। বিশ্বের অন্যতম নান্দনিক স্টেডিয়াম, বাংলাদেশের সেরা নয়নাভিরাম ভেন্যু সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এই মাঠের প্রশংসা ঝরে পড়েছে টাইগার অধিনায়ক মাশরাফির কণ্ঠেও, ‘এই মাঠ অবশ্যই বাংলাদেশের অন্যতম সেরা। সিলেট এমনিতেই সুন্দর। স্টেডিয়ামের আশেপাশের এলাকাটাও খুব সুন্দর। সৌন্দর্যের কথা যদি বলেন তাহলে তো অবশ্যই এটা অন্যতম সেরা।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলও মুগ্ধ এই স্টেডিয়াম দেখে, ‘এটা খুব সুন্দর স্টেডিয়াম। সুযোগ সুবিধা দেখে আমি অভিভূত। দুর্দান্ত বলা যায়।’ প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বলতে গেলে মঙ্গলবার ওশানে থমাসের গতির সামনে বেশ ভুগেছে টাইগার ব্যাটসম্যানরা। তাই সিলেটেও পেসারদের গতি দিয়ে বাংলাদেশকে কুপোকাত করতে চায় সফরকারীরা।

প্রথম দুই ওয়ানডেতেই তিন বিশেষজ্ঞ পেসার খেলিয়েছে উইন্ডিজ। ছিলেন একজন পেস অলরাউন্ডারও। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ১০ উইকেটের ছয়টিই তুলেছেন পেসাররা। তাই পেসারদের দিয়ে বাংলাদেশকে কাবু করতে চান পাওয়েল, ‘বাংলাদেশ পেস খেলতে স্বস্তিবোধ করে না। আমরা অবশ্যই এই জায়গাটা খোলসা করতে চাইব। আর তাই অপরিবর্তীত একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে উইন্ডিজরা।

এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস আক্রমণ নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন মাশরাফি, ‘ইনিংসের শুরুতে হয়তো কিছুটা সমস্যা হতে পারে, এটা স্বাভাবিক। সাকিবও খুব আরামসেই খেলেছে এবং শটও খেলতে পেরেছে। আমার মনে হয় না ওদের পেসাররা খুব একটা কিছু করতে পেরেছে। আগে একটা সময় ছিল যে, এই ব্যাপারগুলো অনেক প্রভাব ফেলত, এখন আর সেটা ওই জায়গাতে নেই। বাংলাদেশ প্রথমে টসে জিতে উইন্ডিজদের ব্যাটিং এ পাঠায়।

উইন্ডিজ ব্যাটিং নেমে ব্যাটিং বিপর্জয়ে পড়ে। শেষ খবর পর্যন্ত উইন্ডিজ ৪৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান করেছে। মিরাজ ১০ ওভারে ২৯ রান ৪ উইকেট শিকার করেন। এই স্টেডিয়ামে এখনও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। প্রথম টি-টুয়েন্টিতে হেরেছিল শ্রীলঙ্কার কাছে। আর টেস্টেও হেরেছে জিম্বাবুয়ের কাছে। তবে ওয়ানডেতে ভিন্ন গল্পই লিখতে হবে মাশরাফিদের। এই ম্যাচ হারলে সিরিজই খোয়াতে হবে স্বাগতিকদের।

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ