বাহারি ফুলের মন মাতানো ঘ্রানে সুভাষিত যশোরের ঝিকরগাছা

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১০:১১:০১

বাহারি ফুলের মন মাতানো ঘ্রানে সুভাষিত যশোরের ঝিকরগাছা

আসিফ ইকবাল, খুলনা:  আকাবাকা মেঠপথ, চারিদিকে সবুজের হাতছানি। দৃষ্টিসীমার পুরোটা জুড়েই যেন সবুজের সমারোহ। আর পাশের দিগন্ত-বিস্তৃত  মাঠে ফুলের সমারোহ যেন স্বর্গীয় সৌন্দর্য নিয়ে এসেছে ঝিকরগাছায়। জমিতে সারি সারি গোলাপ, গাদা,গ্যালিডিওলাস, জারবেড়া, রজনীগন্ধার গাছের সারি ।

সৌন্দর্য পিয়াসু ফুল প্রেমিক মানুষের মনের আশা মিটাতে দেশের অনেক জায়গায় ফুল বাগান গড়ে উঠলে ও বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষে এগিয়ে যশোরের ঝিকরগাছা। এখানকার প্রায় সারে তিন হাজার  হেক্টর জমিতে বানিজ্যিক ভাবে ফুল চাষ হয়।

দেশের মোট ফুল চাহিদার প্রায় ৮০% আসে ঝিকরগাছা থেকে। স্থানীয় এক চাষি বলেন প্রায় সারা দেশেই তাদের এলাকা থেকে ফুল চালান হয়। ঝিকরগাছার গদ খালি এলাকাতে সবচেয়ে বেশি ফুল চাষ হয়।

তিনি আরো বলেন প্রতি পিস জারবেড়া ফুল ৫-৮, গোলাপ প্রতি ১০০ পিস ১০০-২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, এবার নির্বাচনের কারনে ফুলের দাম কমার আশঙ্কা করছি। তবে  নির্বাচনের পরে দেশের পরিস্থিতি ভাল থাকলে ফেব্রুয়ারি এবং মার্চে ফুলের দাম বাড়বে বলে আশা করছি।

কৃষক অভিযোগ করে বলেন, তাদের এই ফুল চাষে সরকার থেকে কোন সাহায্য সহযোগীতা পান না। সেচ সার বাবদ কোন ভর্তুকি ও তারা পান না। তাই সরকার যদি এই ফুল চাষে সুনজর দেয় তবে ফুল দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে ও পাঠানো যাবে।

এক ফুল শ্রমিক বলেন, তারা ফুলের বাগানে কাজ করে প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে মজুরি পান। যদি ফুলের দাম ভাল থাকে  তবে মালিকের মজুরি দিতে সমস্যা কম হয়। কিন্তু ঝিকরগাছা থেকে যশোর এর রাস্তা ভাঙা থাকার কারনে তাদের পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। 

উল্লেখ্য, যে যশোর জেলায় বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফুল চাষ হয়।  যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ হচ্ছে। ১৯৮৩ সালে গদখালীতে মাত্র ৩০ শতক জমিতে ফুল চাষ শুরু হয়।

এখন চাষ হচ্ছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে। দেশে ফুলের মোট চাহিদার ৮০ ভাগই যশোরের গদখালী থেকে সরবরাহ করা হয়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এই ফুল এখন যাচ্ছে দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়াতে।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ