প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৬:৪১:৫৪
রবার্ট মুগাবে
জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ২০১৬ সালে একবার দুবাই গিয়েছিলেন রবার্ট মুগাবে। গুজব ছড়িয়ে পড়ে, গুরুতর অসুস্থ হয়ে দুবাইয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। পরে দেশে ফিরে মুগাবে বলেন, হ্যাঁ! সত্যিই আমি মারা গিয়েছিলাম। তবে বরাবরের মতো আবার বেঁচে উঠেছি।
পারিবারিক কারণে দুবাই গিয়েছিলেন বলে জানান মুগাবে। টানা ৩০ বছর ধরে জিম্বাবুয়ে শাসন করেছেন এই রাজনীতিক। ২০০৯ সালেও একবার সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
ভ্লাদিমির পুতিন
২০১৫ সালে একবার সপ্তাহ দুয়েকের জন্য হাওয়া হয়ে যান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সুযোগে গুজব ডালপালা মেলতে শুরু করে। কারও দৃঢ় বিশ্বাস জন্মায় পুতিনের মৃত্যু হয়েছে। কেউ বলতে থাকেন, বাজে রকমের প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন পুতিন। আরেক দল বলতে শুরু করে, শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত সুইজারল্যান্ড ভ্রমণে গেছেন তিনি। জ্বর বা পিঠে ব্যথার মতো কোনও রোগের আশঙ্কা করেন অনেকে। তবে লোকমুখে ছড়িয়ে পড়া এসব গুজবের স্পষ্ট কোন বক্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করেননি কর্মকর্তারা। রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিন থেকে শুধু এতটুকু বলা হয় যে, ‘এই বিষয়টির (গুজব) অবসান ঘটেছে।’
জিয়াং জেমিন
কিছুদিন জনসমক্ষে দেখা না যাওয়া ২০১১ সালে সাবেক চীনা প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিনের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বিষয়টি নাকচ করে দেওয়া হলেও লোকজন সরকারি মাধ্যমে আস্থা রাখতে পারছিলেন না। ফলে সার্চ ইঞ্জিনগুলোর অবস্থান নিয়েও অনেকের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়। গুজব এতোটাই ডালপালা মেলে যে, শেষ পর্যন্ত সরাসরি সম্প্রচারিত একটি টিভি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে গুজবকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেন তিনি। তবে টিভি পর্দায় তাকে বেশ দুর্বল লাগছিল। ১৯৮৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত চীনা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে তিনি।
কিম জং উন
২০১২ সালে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন খুন হয়েছেন বলে গুজব ছড়ায়। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তার দায়িত্বগ্রহণের অল্প সময়ের মধ্যেই এ গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। চীনা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ওয়েইবো’তে এ সংক্রান্ত প্রচুর পোস্ট আসতে শুরু করে। পরে জানা যায়, টুইটারে দেখতে বিবিসি’র মতো একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ওই গুজবের সূত্রপাত হয়েছিল। ওই অ্যাকাউন্টে কিম জং উনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছিল। কিন্তু ওই গুজবের অর্ধযুগ পর এখনও দোর্দণ্ড প্রতাপে দেশ পরিচালনা করছেন কিম জং উন। ২০১৮ সালের জুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ একাধিক প্রভাবশালী বিশ্বনেতাদের সঙ্গে তার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আয়াতুল্লাহ খামেনি
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি’র অন্তত দুই দফায় মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম দফায় ২০০৭ এবং দ্বিতীয় দফায় ২০০৯ সালে এ গুজব রটায়। দুইবারই মাইকেল লেদেন নামের এক মার্কিন নাগরিক এ গুজব ছড়ান।
আলি খামেনি এখনও জীবিত আছেন এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নিয়মিত তিনি মিডিয়ার সামনে আসছেন।
মুহাম্মাদু বুহারি
সম্প্রতি নাইজেরিয়ায় গুজব ছড়ায় যে দেশটির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি মারা গেছেন। দেশ চালাচ্ছেন তার মতো দেখতে কোনও ছদ্মবেশী। এ নিয়ে বিভিন্ন ছবিও ও তথ্য ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। পোস্টগুলো শেয়ার করেন একাধিক রাজনীতিবিদও। তবে রবিবার বুহারি জনসমক্ষে এসে বললেন, ‘আমিই আসল বুহারি।’
২০১৫ সাল থেকেই নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্বপালন করছেন বুহারি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। ২০১৭ সালে তিন মাসের জন্য স্বাস্থ্য ছুটিতে ছিলেন। কিন্তু সুস্থ হয়ে এসে জানান, খুব বড় কোনও অসুখ ছিলে না তার। তবে সেই বছরের শেষ দিক থেকেই বুহারির মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়তে থাকে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। বুহারির পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট জোনাথন গুডলাকের সহযোগীরাও এই গুজব ছড়ানোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
সামাজিক মাধ্যমের পোস্টগুলোতে বলা হয়, তার ‘ক্লোন’কৃত কেউ দেশ চালাচ্ছেন। ফেসবুক ইউটিউব টুইটারে ছড়িয়ে পড়া এমন গুজব দেখা হয় ৫ লাখেরও বেশি বার।
গুজবটি ছড়ান মূলত ইনডেজিনিয়াস পিপল অব বিয়াফ্রার সভাপতি নামদি কানুও। দুটি ছবি দিয়ে তিনি মন্তব্য করেন যে বুহারি ডানহাতি, কিন্তু বাম হাত ব্যবহার করছেন। অর্থাৎ তিনি ‘আসল’ নন। এই গুজব ছড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে হলিউডের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘ফেসঅফ’র দৃশ্যও।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনে অংশ নিতে পোল্যান্ডে অবস্থান করছেন বুহারি। সেখান থেকেই ভিডিও বার্তায় নিজের জীবিত থাকার বিষয় নিশ্চিত করেন নাইজেরীয় প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমার মৃত্যুর গুজব ছড়ানোর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আসলে অনেকে চেয়েছিল যেন আমি অসুস্থ অবস্থায় মারা যাই। অনেকে ভাইস-প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন। তবে আমি নিশ্চিত করছি, আমিই ‘আসল’ বুহারি।’
আলি বঙ্গো
সৌদি আরবে ২৪ অক্টোবর একটি সম্মেলন চলাকালে পড়ে যাওয়ার আলি বঙ্গোর মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়ায়। গেবনের প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সূত্রের মতে, তিনি স্ট্রোকের শিকার হয়েছিলেন। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত তেমন কিছুই জানানো হয়নি। শুধু বলা হয়েছিল, রক্তক্ষরণ হয়েছে। এর ফলে গুজব ছড়ায় তিনি মারা গেছেন। আর এতে করে বাধ্য হয়ে সোমবার জীবিত থাকার প্রমাণ দিতে হয়েছে।
বঙ্গোর বেঁচে থাকার প্রমাণ হিসেবে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। এতে কোনও অডিও নেই। ভিডিওতে দেখা গেছে, নীল-সাদা আলখেল্লা পরে মরক্কোর বাদশাহ মোহাম্মদ ৬ষ্ঠ’র সঙ্গে কথা বলছেন। এক পর্যায়ে বঙ্গো দুধের গ্লাসে চুমুক দেন।
প্রজন্মনিউজ২৪/আরমান হেকিম
পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা
বিশ্ব বই দিবসে নিজের কক্ষেই লাইব্রেরি গড়ে তুললেন রাবি শিক্ষার্থী আকরাম
পটুয়াখালীর বাউফলে হিটস্ট্রোকে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ভোটার স্মার্ট কার্ড বিতরণ
ক্রিকেটার আরিফা জাহান বিথীর ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ
পদ্মায় গোসলে নেমে একসঙ্গে নিখোঁজ ৩ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
আধুনিক ওয়ার্ড গঠনে কাউন্সিলর প্রার্থী হতে চান সোহেল
বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি
Severity: Notice
Message: Undefined index: category
Filename: blog/details.php
Line Number: 417
Backtrace:
File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler
File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view
File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view
File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once