আলমগীর হোসেন ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: সরকারী নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চরমনসা এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে সংসার ইট ভাটা।

কোনরকম বৈধ ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধ ভাবে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন সংসার ইটভাটা যুবলীগ নেতা মালিক রুবেল সানী।

ভাটার মাধ্যমে যেমন পরিবেশ দূর্ষিত হচ্ছে, তেমনি কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে। এ ইট ভাটায় ড্রাম চিমনি ব্যবহার করে চলছে কাঠ পোড়ানোর মহোৎসব। এছাড়া ভাটায় কাঠ পোড়ানোর ফলে জ্বালানীর ওপরও প্রভাব পড়ছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সম্পূর্ণ কৃষিজমি ও ঘনবসতি এলাকায় নির্মিত হয়েছে সংসার ইট ভাটা। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, কৃষি জমিতে ইটভাটা নির্মাণের বিষয়ে তারা আপত্তি জানিয়েছেন। তার পরও ইটভাটার মালিক প্রভাব খাটিয়ে, স্থানীয় কতিপয় ও সদর উপজেলা ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা হওয়ায় রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে ফসলি জমিতে গড়ে তুলছেন নিজের অবৈধ ইটভাটা।

এলাকাবাসীর মতে, ঘনবসতি এলাকায় ইটভাটা চালু হওয়ায় তাদের গাছপালা ও ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পরিবেশ আইনে উলে¬খ রয়েছে, পরিবেশগত ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাওয়ার জন্য ২০০২ সালের সংশোধনী পজ্ঞাপণে বলা হয়েছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দ্বারা বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিবেশগত ও অবস্থানগত ছাড়পত্র ব্যতিরেকে কেউ কোনো ইটভাটা স্থাপন বা পরিচালনা করতে পারবে না।

কিন্তু সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ-চৌরাস্তা রাস্তার মাঝামাঝি এলাকায় ঘনবসতি প্রভাব খাঁটিয়ে রুবেল সানী নামে ঐ ব্যবসায়ী সংসার ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটা স্থাপন করে স্থানীয় পরিবেশ বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলেছে।

স্থানীয়রা আরো জানায় অচিরেই বসতি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকা থেকে ইটভাটা অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে স্থানীয়দের রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন।

জানতে চাইলে ইট ভাটার মালিক রুবেল সানী কোনো কথা না বলে এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ শাহজাহান আলি বলেন, কাট পুড়িয়ে পরিবেশ দূর্ষিত ও ফসলি সম্পত্তি বিনষ্ঠ করায় অবৈধ ইট ভাটারবিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

প্রজন্মনিউজ২৪/আরমান/আলমগীর