রোহিঙ্গারা যাতে বিচার পায়

সেজন্য জাতিসংঘের পক্ষ চাপ অব্যাহত রয়েছে

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর, ২০১৮ ০৫:২০:৪১

সেজন্য জাতিসংঘের পক্ষ চাপ অব্যাহত রয়েছে

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে কক্সবাজার টেকনাফের শালবাগান শরণার্থী ক্যাম্পের ৯ রোহিঙ্গা নেতার মুখে নির্যাতনের কথা শুনলেন জাতিসংঘ মহাসচিবের রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনার।

শনিবার সকাল ১১টার দিকে টেকনাফ নয়াপাড়া নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরের পাশে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) তত্ববধানে এলপিজি ওয়ারহাউস ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারের কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রোহিঙ্গদের মুখে নির্যাতনের কথা শোনেন তিনি।

বৈঠকে থাকা রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, নির্যাতিত রোহিঙ্গারা যাতে বিচার পায় সেজন্য জাতিসংঘের পক্ষ থেকে মিয়ানমার ওপর চাপ অব্যাহত রাখা হয়েছে। এছাড়া জোর এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে না বলে আশ্বাস্ত করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত।

বৈঠকে টেকনাফ নয়াপাড়া অনিবন্ধিত শালবাগান ডেভেলমেন্ট কমিটির নারী চেয়ারম্যান রমিদা বেগমসহ ৯ রোহিঙ্গা নেতা উপস্থিত ছিলেন।

রমিদা বেগম বলেন, মিয়ানমারের সেনারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা চালাচ্ছে। এ কারণেই প্রাণে বাঁচতে আমরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসি। আগে এসব নির্যাতনের বিচার চাই। এরপর আমরা সে দেশে ফেরত যাবো।

তিনি জানান, তার কথার জবাবে জাতিসংঘের বিশেষ দূত তাদের বিচার পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কিভাবে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে সেই বর্ণনা শুনে দুঃখ প্রকাশ করেন ক্রিস্টিন। ক্রিস্টিন জানিয়েছেন, তাদের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন এবং রোহিঙ্গাদের জোর করে সেদেশে পাঠানো হবে না। 

এদিকে চলতি মাসে নভেম্বরের মাঝামাঝি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছর ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভিযানের মুখে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে আরও ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। সব মিলিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে ৩০  শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

প্রজন্মনিউজ২৪/এম বিল্লাহ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ