নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে সস্তি

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর, ২০১৮ ১২:০১:৪৪

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে সস্তি

বাজারে সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। সরবরাহ বাড়ায় কেজিতে একাধিক সবজির দাম ১০-১৫ টাকা কমেছে। তবে নতুন আলু এখনও উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে মাছ-মাংসের দামও বাড়েনি। কমার তালিকায় আছে দেশি পেঁয়াজের দাম।

কেজিতে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা। আর চাল, ডাল, ভোজ্য তেলসহ বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নয়াবাজার ও শান্তিনগর কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আকার ভেদে শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৪০-৬০ টাকা। আকার ও মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৩০ টাকা; যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৩০-৩৫ টাকা। বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকা।

আর আকার ভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ২৫-৪০ টাকা। পটোল ৩৫-৪০ টাকা কেজি। বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৫০-৫৫ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ঢেঁড়স, করলা, ঝিঙা, ধুন্দলের দাম কমে ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা।বাজারে শীতকালীন বিভিন্ন প্রকারের শাক এসেছে।বাজারভেদে ছুটির দিনে এক আঁটি পালংশাক বিক্রি হয় ১০-২০ টাকায়। লাল ও সবুজ শাক বিক্রি হয় ৫-১০ টাকা আঁটি।লাউশাক বিক্রি হয় প্রতি আঁটি ২০-৩০ টাকা।

পুঁইশাক ১০-২০ টাকা। তবে টমেটো ও গাজরের দাম এখনও কমেনি। আর উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে মৌসুমের নতুন আলু। সেক্ষেত্রে বাজারে প্রতি কেজি গাজর গত সপ্তাহের মতো ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়। পাকা টমেটো বিক্রি হয় ৬০-৮০ টাকা কেজি।

কাঁচা টমেটো ৫০-৬০ টাকা। আর নতুন আলু ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয়।এছাড়া দাম কমছে পেঁয়াজের। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা কমে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম।

গত সপ্তাহের মতো আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২৫-৩০ টাকা কেজি। কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা সোনাই আলী যুগান্তরকে বলেন, সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় একাধিক সবজি কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমেছে। সামনে সরবরাহ আরও বাড়বে।

তখন দাম আরও কমে আসবে। একই বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. জাহিদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, বাজারে সবজির দাম কমেছে।একাধিক সবজি গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা কেজিতে কম পাওয়া যাচ্ছে। এতে ক্রেতাদের মধ্যে একটু স্বস্তি ফিরেছে। কিন্তু বাজারে যে পরিমাণ সবজির সরবরাহ আছে, সে পরিমাণে দাম এখনও কমেনি।

এদিকে শুক্রবার বাজারে এক কেজি বা তার চেয়ে একটু কম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা। ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে ৭০০-৮০০ টাকা। ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতি পিস ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৩০০-৩৫০ টাকা।

আর বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে অন্য মাছের দাম। বাজারে প্রতি কেজি পাঙ্গাশ ১২০-১৩০ টাকা বিক্রি হয়। কেজিপ্রতি কই ১৬০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়।তেলাপিয়া ১২০-১৬০ টাকা কেজি, রুই ২৮০-৩০০ টাকা কেজি, ট্যাংরা ৩৫০-৪৫০ টাকা কেজি, শিং ৩০০-৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়।

আর চিংড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৫০০-৯০০ টাকা।অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হয়।পাকিস্তানি কক ২৩০-২৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়।গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৮০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭৮০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়।

প্রজন্মনিউজ২৪/ওসমান

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ