১ম টেষ্টে ১৫১ রানের বিশাল হার বাংলাদেশের

প্রকাশিত: ০৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০৩:২৯:৩৭ || পরিবর্তিত: ০৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০৩:২৯:৩৭

১ম টেষ্টে ১৫১ রানের বিশাল হার বাংলাদেশের

বাংলাদেশের জন্য ৩২১ রানের লক্ষ্যটা বেশ কঠিনই ছিল। ১ম দিনের শুরুটা ভালোই ছিল কিন্তু আজকে ভালো হয়নি। শেষ পর্যন্ত ১ম টেষ্টে ১৫১ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।

 সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে এই রান তাড়া করতে নেমে বেশ সতর্কভাবেই শুরু করেছিল বাংলাদেশ। আগের দিনের ২৬ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ভালোই খেলছিলেন দুই ওপেনার। এরপরই হঠাৎ ব্যাটিং ধস। আর এই বিপর্যয় সামলাতে পারেননি কেউই। তাই জিম্বাবুয়ের মতো দুর্বল দলের কাছেও বড় হারের লজ্জা পেতে হয়েছে স্বাগতিকদের।

তাই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অভিষেকটাও ভালো হালো না। বাংলাদেশের অষ্টম টেস্ট ভেন্যুতে খেলতে নেমে বাজেভাবে হারতে হয়েছে লাল-সবুজের দলকে। তাই সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। অবশ্য এত বড় লক্ষ্য তাড়া করে এর আগে কখনোই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ২০০৯ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।

এই ম্যাচে বাংলাদেশ দুই ইনিংসেই চরম ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখিয়েছে। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৩ রান ও দ্বিতীয় ইনিংসে করে ১৬৯ রান। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দিনে প্রথম উইকেট হারায় লিটস দাসকে (২৩)। বেশিক্ষণ উইকেট থাকতে পারেননি অভিজ্ঞ মুমিনুল হক। তিনি করেন মাত্র ৯ রান। তারপর ইমরুল কায়েস ৪৩ রানে ফিরে গেলে দলের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। দ্রুত প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ (১৬) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (১৩)।

এই ধারাবাহিকতায় অন্যরা আসা যাওয়ায় ব্যস্ত থাকলেও কিছুটা ব্যতিক্রম ছিলেন অভিষিক্ত অরিফুল হক। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি করেন ৩৮ রান। তার আগে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে ২৮২ রান করেছিল। জবাবে বাংলাদেশ মাত্র ১৪৩ রানে প্রথম ইনিংস গুটিয়ে নেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ে ১৮১ রান করলে স্বাগতিকদের সামনে তিন শতাধিক রানের কঠিন লক্ষ্য দাঁড় করাতে সক্ষম হয় সফরকারী দলটি।

তবে এই ম্যাচে বাংলাদেশি স্পিনার তাইজুল ইসলামের উজ্জ্বলতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তিনি প্রথম ইনিংসে ১০৮ রান খরচায় ছয় উইকেট নিয়েছিলেন। সাড়ে তিন বছর পর, টেস্ট ক্যারিয়ারে চতুর্থবারের মতো পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন তিনি। আর দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচে মোট ১১ উইকেট পান।

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখায়। দেড় শতক করতে পারেনি। দলীয় আট রানের মাথায় প্রথমে ইমরুল কায়েস (৫) সাজঘরে ফিরেছিলেন। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে আরেক ওপেনার লিটন দাসও (৯) আউট হয়ে যান। তরুণ নাজমুল হোসেন শান্তও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি, পাঁচ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথে রওনা হন। শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও।

প্রজন্মনিউজ২৪/মুহিব

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ