প্রকাশিত: ০৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০৪:১৩:৩২
ছাত্রজীবনে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন ড. নুরুন নাহার আক্তার নূপুর। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। রাজনীতি এবং পেশা দুটোকে সমন্বয় করার জন্য বেছে নেন আইন ব্যবসা।এ প্রসঙ্গে ড.নুরুন নাহার আক্তার নূপুর বলেন, রাজনীতি করতে গিয়ে একটি বিষয় আমাকে নাড়া দিয়েছে।
তা হল রাজনীতিতে নারীর ক্ষমতায়ন দরকার।যতদিন রাজনীতিতে যোগ্যতার ভিত্তিতে নারীর ক্ষমতায়ন না হবে ততদিন নারীর অগ্রগতি হবে না।এরই প্রেক্ষাপটে আমি আমার পিএইচডির বিষয় বেছে নিয়েছিলাম বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রাজনীতিতে নারীর মানবিক অধিকার।
আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়ার্ল্ড ইউনির্ভাসিটিতে ২০০৯ সালের মাঝামাঝিতে এ বিষয়ে পিএইচডি করার জন্য আবেদন করি।মনোনীত হতেই ২০১০ সালে আমেরিকায় চলে যাই।তিন বছরের কোর্স করতে আমার সময় লেগেছে সাড়ে চার বছর।
আমি আমার অভিসর্ন্দভে রাজনীতিতে নারীর ক্ষমতায়নে প্রতিবন্ধকতা ও তা থেকে উত্তরণের উপায়গুলোকে গুরুত্ব দিয়েছি।এক্ষেত্রে রাজনীতিতে নারীর ক্ষমতায়নে প্রধান বাধা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র। যে যেই দলের নারী কর্মীই হন না কেন?পুরুষ কর্মীরা যোগ্যতা অনুযায়ী জায়গা ছেড়ে দিতে চান না।
কোনো কোনো নারী কর্মী পারিবারিক প্রভাবকে ব্যবহার করে এগিয়ে এসেছেন।তাদের অনেকে কম যোগ্যতার হয়েও সুযোগ পেয়েছেন এগিয়ে যাওয়ার।রাজনৈতিক অঙ্গনে পারিবারিক সম্পর্ক বা যোগসূত্র না থাকলে রাজনীতিতে একজন নারী কর্মীর নিজের অবস্থান তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়ে।
রাজনীতিতে একজন নারীকে তার রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।সেই সঙ্গে নারী নিজে সচেতন হলেই চলবে না পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রকেও সচেতন হতে হবে।একজন রাজনীতিবিদ, মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী হিসেবে ড.নুরুন নাহার আক্তার নূপুর চেয়েছেন অধিকার বঞ্চিত, অসহায় দরিদ্র নারীদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান।
যারা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে মামলা চালিয়ে যেতে পারছেন না।এজন্য তিনি হিউম্যান ট্রাস্ট ফাউন্ডেশন নামে ২০১০ সালে একটি সংস্থা গড়ে তোলেন। এ সংস্থার তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। সভাপতি সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম।
ড.নুরুন নাহার আক্তার নূপুর এর মতে,এ ধরনের মামলাগুলো বেশির ভাগই পারিবারিক নির্যাতনের মামলা।এ সংস্থার মাধ্যমে বিনা ফিসে এ মামলাগুলো পরিচালনা করি। রিট করা হয়।এ পর্যন্ত দুই হাজারেরও বেশি মামলা পরিচালনা করা হয়েছে।এ কাজ করতে পারিবারিক সহযোগিতাও পাচ্ছি।
তবে প্রথম প্রথম এ সহযোগিতা পাওয়াটা সহজ ছিল না। নিজের মতো তৈরি করে নিতে হয়েছে।চাঁদপুরের মেয়ে ড. নুরুন নাহার আক্তার নূপুরের জন্ম ঢাকায়। বেড়ে ওঠা আজিমপুরে। বাবা রফিকুল ইসলাম একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা।মা শাহিদা খাতুন গৃহিণী।
তিন বোন দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ড. নুরুন নাহার আক্তার নূপুর। ১৯৯৬ সালে তিনি ইডেন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইডেন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৯ সালে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে বি.কম অনার্স, ২০০১ সালে এমকম করেন।
এ বছরই রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়। তাদের ছাত্রীনিবাস থেকে বের করে দেয়া হয়।রাজনীতির টানাপড়েনের কারণেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন চাকরি বা ব্যবসা নয় একজন আইনজীবী হবেন। কিন্তু ২০০৩ সালে বিয়ে, ২০০৫ সালে ছেলের জন্ম ইত্যাদি কারণে তার স্বপ্ন পূরণে একটু দেরি হলেও পরবর্তীতে প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে ভর্তি হন।
এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বছরে আইন বিষয়ে এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন ২০০৭ সালে। ২০০৯ সালে এলএলকম সম্পন্ন করেন একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২০০৮ সালে বার কাউন্সিলের মেম্বার হন। পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করে ছেলেকে নিয়ে ২০১৪ সালে দেশে ফিরে আসেন তিনি।পড়াশোনার পাশাপাশি সন্তানের দেড.খাশোনাও করেছেন। এভাবেই এগিয়ে চলেছেন তিনি তার লক্ষ্যে।
ড. নুরুন নাহার আক্তার নূপুর
প্রজন্মনিউজ২৪/ওসমান
মধ্যপ্রাচ্যে ১৩০ হামলা ঠেকাতে শত কোটি ডলার ব্যয় যুক্তরাষ্ট্রের
অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ হবে
‘বৈশাখী ঝড়’ দিয়ে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে‘দোতারা’র
নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রায় প্রশাসনের সাথে সচেতনতাও জরুরি
বুয়েটের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন- অপি করিম
বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি কি যৌক্তিক?
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট সিটিজেন : চবি উপাচার্য