প্রাণ ফিরে পাচ্ছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ

প্রকাশিত: ০৩ নভেম্বর, ২০১৮ ০২:১৫:৪৭

প্রাণ ফিরে পাচ্ছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ

 তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে বিশ্বজুড়ে ডাক বিভাগ ঝিমিয়ে পড়েছে। হারিয়ে গেছে চিঠিপত্র। বাংলাদেশেও এই ধারাবাহিকতার কারণে ডাক বিভাগের কথা মানুষ প্রায় ভুলেই গেছে। তবে  নগদ  সেবার কারণে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ প্রাণ ফিরে পাচ্ছে।

৯ হাজার ৮৮৬টি পোস্ট অফিস আর ৪০ হাজার কর্মকর্তা নিয়ে শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ডাক বিভাগে অনেক দশক ধরে অর্থ আদান প্রদানের প্রধান মাধ্যম হিসাবে মানুষের দোর গোড়ায় সেবা দিয়ে এসেছে ডাক বিভাগ।

সময়ের বিবর্তনে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে চালু হয় পোস্টাল ক্যাশ কার্ড এবং ইলেক্ট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম। গত কয়েকবছর উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত না হলে বিগত কয়েকমাস ধরে নতুন উদ্যম লক্ষ্য করা যাচ্ছ ডাক বিভাগের বিভিন্ন স্তরে।

৯ হাজার ৮৮৬টি পোস্ট অফিস ধাপে ধাপে নতুন ব্র্যান্ডিং এবং নগদ সেবার আওতায় আনার প্রস্তুতি নিয়ে স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনেকটা সময় ধরে নতুন প্রযুক্তির মানুষের যোগাযোগের ধরন পাল্টে যাওয়ায় ডাক বিভাগের উপযোগিতা নিয়ে অনেক আলোচনা ।

 সমালোচনা হয়েছে বিভিন্ন পর্যায়ে।ডাক বিভাগের বিস্তৃত অবকাঠামোর সঙ্গে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনকে এগিয়ে নেয়ার একটা তাগিদ অনুভূত হচ্ছিল অনেক বছর ধরে।

ডিজিটাল ফিন্যাসিয়াল সার্ভিস নগদ সে আলোচনা এবং অভিজ্ঞতার ফসল আর্থিক খাতের সরকারি এবং বেসরকারি বেশকিছু দক্ষ কর্মকর্তা কর্মচারিকে নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে নগদ গত কয়েকমাসের প্রস্তুতি পর্বের একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল পোস্ট অফিসের আধুনিকীকরণ, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রশিক্ষন সূচি প্রস্তুত করা।

জেলা পর্যায় থেকে নামের তালিকা তৈরি করতে গিয়ে ব্যাপক সাড়া পাওয়া প্রসঙ্গে নগদের হেড অফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার সোলায়মান সুখন বলেন, 'জেলা পর্যায়ের পোস্ট অফিসগুলো থেকে আমরা আশাতীত সাড়া পেয়েছি।

 বিশেষত নতুন প্রযুক্তির ব্যাপারে এই আগ্রহ আমাদেরকে উদ্দীপ্ত করেছে অনেক বেশি।ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের খুটিনাটি মানি লন্ডারিং নিয়ে ওয়ার্কশপে অংশ নেয়ার জন্য ইতিমধ্যেই সারাদেশ থেকে ২ হাজার জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

সরকারি এবং বেসরকারি এই মিলিত উদ্যোগ দেশের বিভিন্ন পোস্ট অফিসের কর্মচারিদের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পেছনে ডাক বিভাগের প্রত্যাক্ষ অবদান হিসেবে গণ্য হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন সোলায়মান সুখন।

 

প্রসঙ্গত, প্রতিটি পোস্ট অফিসে ডিজিটাল ফিন্যাসিয়াল সার্ভিস নগদ পাওয়া যাবে এবং এ জন্য আলাদা করে ব্র্যান্ডিং এবং প্রযুক্তি স্থাপনের কাজ চলছে। বর্তমানে নতুন করে এই কর্ম চাঞ্চল্য নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মন্ডল।

তিনি বলেন, আমাদের ৪০ হাজার মানুষের বিশাল পরিবার ডিজিটাল ফিন্যাসিয়াল সার্ভিস নগদ নিয়ে সত্যিকার অর্থেই যথাযথ প্রস্তুতি নিচ্ছে অনেকটাই স্বতস্ফুর্তভাবে ডাক বিভাগের প্রতন্ত পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারিরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরাসরি ভূমিকা রাখছে।

অন্যান্য আর্থিক সেবার সহজ করার পাশাপাশি নগদের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অর্থ সরাসরি প্রান্তিক পর্যায়ের নাগরিকদের মধ্যে বিতরণে গতি আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ক্ষেত্রে ডাক বিভাগের দেশব্যাপি বিস্তৃত অবকাঠামো এবং ৪০ হাজার দক্ষ জনশক্তি সুদৃঢ় ভূমিকা রাখবে বলে তারা মনে করছেন।

প্রজন্মনিউজ২৪/ওসমান

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ